Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনাভাইরাস : জাতিসংঘ মহাসচিব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম

বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসে। গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নতুন এই ভাইরাস সমাজের মূলে আঘাত করছে, জীবন নিচ্ছে এবং মানুষের জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নিকট অতীতে এরকম আর কিছুই দেখা যায়নি।

এই মহামারি কঠিন অর্থনৈতিক মন্দা এনে দিতে পারে, যার সমকক্ষ সম্ভবত বিগত অতীতে দেখা যায়নি। ‘আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের ওপর করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রভাব’ শীর্ষক জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ আশঙ্কার কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪২ হাজার জনের প্রাণ নিয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এই নতুন করোনাভাইরাস সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হানছে, হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে।’
‘জাতিসংঘ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা কোভিড-১৯’-বলেন গুতেরেস।
এই অবস্থায় সংক্রমণ কমাতে ও এই মহামারির শেষ দেখতে জরুরি ভিত্তিতে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ে সাড়া দিতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ প্রধান। একই সঙ্গে, এই সংকটময় মুহূর্তে স্বল্প উন্নত দেশগুলোর সহায়তায় শিল্পোন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ তার রিপোর্টে বলেছে, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বে চাকরি হারাতে পারেন প্রায় ২৫ মিলিয়ন (আড়াই কোটি) মানুষ। একই সঙ্গে, বৈশ্বিক বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ কমে যাবে ৪০ শতাংশ। সূত্র : বিবিসি

এদিকে এক নির্দেশনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মত দিয়েছে, করোনায় গণহারে মানুষ মারা গেলে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেয়ে কবর দেয়া উত্তম হবে। প্রাকৃতিক কোনও বিপর্যয়ের পর কোনও লাশের শরীর মহামারী রোগ সৃষ্টি করে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
নির্দেশনায় বলা হয়, সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তি থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তবে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি।
কারণ মহামারীতে মারা যাওয়ার পর মানুষের শরীরে ওই এজেন্টের বেশিরভাগই দীর্ঘ সময় জীবিত থাকে না। তবে লাশের সঙ্গে সংস্পর্শ অব্যাহত রাখলে (কন্সট্যান্টলি ইন কনকাক্ট উইথ করপসেস) যক্ষ্মা বা রক্তবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

লাশ থেকে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত কিছু ঝুঁকি থাকে। যেমন কেউ যদি কলেরা বা রক্তপ্রদাহজনিত জ্বরে (হেমোরেজিক ফিভার) মারা যান, তাহলে এটা ঘটতে পারে।
সংস্থা জানায়, এসব তথ্য ও ঝুঁকির কথা একই সঙ্গে জরুরি বিভাগের কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া উচিত, যাতে যথাযথ পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করা যায়, যখন মৃতদেহ নাড়াচাড়া করা হয়। একই সঙ্গে আতঙ্ক ও ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করা যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ মহাসচিব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ