Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাড়া মহল্লায় ভিন্নচিত্র

পুলিশের তৎপরতায় ফাঁকা রাজপথ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

পুলিশের তৎপরতায় রাজধানীর রাজপথ ছিল অনেকটাই ফাঁকা। সাধারণ ছুটির পঞ্চম দিন থেকে যেভাবে রাজপথে গাড়ি নামা শুরু করে তাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত তো দুরে থাক করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আঁতকে ওঠেন রাজধানীবাসী। এ নিয়ে মিডিয়া সরব হলে বুধবার দুপুরের পর থেকেই তৎপর হয় পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশী তৎপরতার চিতক্র ফুটে ওঠে রাজপথে।
তবে অনেক এলাকার পাড়া, মহল্লার অলিতে-গলিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রবেশ না করায় উঠতি বয়সী ও কিশোরদের জমিয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। বারিধারা এলাকার এক বাসিন্দা ফোনে জানান, বারিধারার অলিতে-গলিতে উঠতি বয়সী বখাটেরা সারাদিনই চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছে। এরা কারো কথা শোনে না। কেউ বাইরে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞার কথা বললে উল্টো তর্ক করে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সাইন্সল্যাব রোডে দেখা যায় প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও রিকশার যানজট লেগে আছে। তাদের পথরোধ করে দাঁড়িয়ে আছে একদল পুলিশ সদস্য। কয়েকজনের হাতে লাঠি। পুলিশ রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছেন। মিরপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার রশীদ মতিঝিলের দিকে আসতে গিয়ে চার বার পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমার পরিচয়পত্র দেখানোর পর পুলিশ আমাকে ছেড়েছে। তবে রিকশায় আসতে দেয়নি। এভাবে অন্যান্যদিন নানা অজুহাতে গাড়ি চলতে দেখা গেলেও গতকাল সকাল থেকে সিংহভাগ গাড়িই ফিরে যেতে বাধ্য করেছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।

মোটরসাইকেল বা রিকশায় একজনের বেশি দেখলেই তাদের নেমে যেতে বাধ্য করেছেন। মতিঝিল এলাকার একজন ব্যাংকার রিকশা নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে পুলিশ সদস্যরা রিকশা থেকে নামিয়ে দিলে তিনি পুলিশ অফিসারকে গিয়ে বলেন তার কাছে ব্যাংকের ভল্টের চাবি, তাকে যেন যেতে দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দিলেন রিকশা করে যেতে দেওয়া হবে না। দরকার হলে একা একা হেঁটে যান। বাধ্য হয়ে তিনি পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে একজন টেকনোলজিস্ট রিকশা নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করছিলেন কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। খাদ্য পণ্যবাহী গাড়িতেও একাধিক লোক থাকলে তাদেরও ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ সদস্য জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আজ থেকে তারা মাঠে কঠোর হবেন। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করা হবে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজপথে পুলিশের তৎপরতা বাড়লেও পাড়া মহল্লায় আজও দোকানে দোকানে আড্ডা দিচ্ছে বখাটেরা। দনিয়া এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ টেলিফোনে জানান, দনিয়া বর্ণমালা স্কুল রোডে প্রতিদিন বিকালে শত শত বখাটে আড্ডা দেয়। অনামিকা গ্রিন নামক ভবনে কয়েকটা ফাস্টফুডের দোকানকে কেন্দ্র করে বখাটেদের আড্ডা চলে সন্ধ্যার পর থেকে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসিকে এ ব্যাপারে কয়েকবার জানানোর পরেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গতকাল সেনাবাহিনীর তৎপরতায় অবশ্য ওই এলাকায় আগের মতো আড্ডা দিতে পারেনি কেউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিন্নচিত্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ