Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনায় জীবে দয়া

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫০ এএম

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে বন্ধ রয়েছে হোটেল রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান। রাস্তায় নেই মানুষের আনাগোনা। মানুষ ঘরবন্দি থাকায় পাড়া মহল্লা সুনসান। এতে বিপাকে পড়েছে নগরীর কুকুর বিড়ালের দল। চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে এসব প্রাণি।

লকডাউনে শ্রমজীবী সব মানুষ নিজ নিজ ঘরে। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা।
কিন্তু নগর জুড়ে থাকা শত শত কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণি পড়েছে খাদ্য সংকটে। নগরীর সব হোটেল রেস্তোরাঁ ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্লাবগুলো বন্ধ থাকায় অভুক্তই থাকতে হচ্ছে এসব নিরীহ প্রাণির।
এ অবস্থায় ভাসমান কুকুরগুলোর মুখে এলাকাভিত্তিক প্রতিদিন এক বেলা খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি। নগরীর মোজাফফর নগর, বায়েজিদ, টেক্সটাইল, পলিটেকনিক এলাকায় প্রায় অর্ধশত কুকুরকে প্রতিদিন একবেলা খাবার দিচ্ছেন পশুপ্রেমী আমির ইসাবা ফারুক।
ছাত্র আমির তার বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক, মাতা শাহানাজ ফারুক ও ছোট ভাই আবির ইসাবা ফারুককে নিয়ে গত ১ এপ্রিল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চালিয়ে নিতে পশুপ্রেমীদের সহযোগিতা কামনা করা হলে অনেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

আমীর ইসাবা ফারুক বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ তাদের আশপাশের অভুক্ত কুকুরগুলোর মুখে অন্তত একবেলা খাবার তুলে দিলে প্রাণিগুলোর প্রাণ বাঁচবে। যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন ইতোমধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আমীর ইসাবা ফারুক।
আমীরের বাবা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ছেলের এ উদ্যোগকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো অভুক্ত কুকুরগুলোর চিৎকার আমাদের কানে পৌঁছায়। প্রত্যেকে যদি নিজ এলাকায় কিছু খাবার এসব প্রাণির জন্য রেখে দেয়, তাহলে কুকুর গুলো বেঁচে থাকতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ