Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘করোনা প্রতিরোধ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২৭ এএম | আপডেট : ১১:৫৯ এএম, ৫ এপ্রিল, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,করোনা প্রতিরোধ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। তিন স্তরের কাজ চলছে। দেশের সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চীনে প্রথম দেখা দিলে আমরা তখন থেকে কাজ শুরু করেছি। ভাইরাজটি মোকাবেলায় জন্য আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশে ৭০ জন আক্রান্ত ৭০ জন, মারা গেছে ৮জন এবং সুস্থ হয়েছে ৩০জন।
আজ রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।একইসঙ্গে জনসাধারণের করণীয় এবং বিভিন্ন সংস্থার করণীয় নিয়ে দিকনির্দেশনা নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি। আমাদেও লক্ষ্য দেশের মানুষের উন্নয়ন করা। ২০০৮ সালের বৈশি^ক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা। সকলে যদি স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলবে।
গত জানুয়ারি থেকে এ রোগ প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হয়েছে। পরে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৪ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধিসহ ৪টি কার্যক্রম নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রোববার সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তাৎক্ষণিক স্বল্প এবং দীর্ঘ- মেয়াদী এ তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৪টি কার্যক্রম নিয়ে এ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৪টি কার্যক্রম হলো:
সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা: সরকরি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘কর্মসৃজনকে’ মূলত প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণ এবং বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা হবে। আমাদের ঋণের স্থিতি-জিডিপি’র অনুপাত অত্যন্ত কম (৩৪%) বিধায় অধিকতর সরকারি ব্যয় সামষ্টিক অর্থনীতির উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করবে না।
আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ: ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা হবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখাই হলো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্য।
সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি: দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ হলো: বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ; ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয়, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, ‘বয়স্ক ভাতা’ এবং ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ভাতা কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা, এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি
মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা: অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সিআরআর এবং রেপোর হার কমিয়ে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা আগামীতেও প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন মুদ্রা সরবরাহজনিত কারণে মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ