Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ প্যাকেজ

৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা সহায়তা : দুর্নীতি-অনিয়ম যেন না হয় , ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে সবাই সুবিধা পাবেন : অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেশীয় পণ্যের প্রতি নজর দেয়ার তাগিদ, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রভাবে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় ইতিহাসের সর্ববৃহৎ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন ৪টিসহ মোট ৫টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন তিনি। এর আগেই পোশাক খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এসব প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। গতকাল রোববার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি আর্থিক সহায়তার এই প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই প্যাকেজে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে করোনায় সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। কর্মপরিকল্পনার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় প্যাকেজ ঘোষিত এই বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়া হবে। এ সময় দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সুযোগ নিয়ে কেউ যেন আবার কোন রকমের দুর্নীতি বা কোনো অনিয়ম, অপব্যবহার না করেন। এটা নিয়ে কেউ কোনো ধরনের অপব্যবহার করবেন না। শুধু এ টুকু চাই সবাই যেন সততার সঙ্গে কাজ করেন। আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি, তবে কোনো সেকশনের মানুষই, কেউই কোনো অসুবিধায় পড়বেন না। সেদিক লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রণোদনার এ আয়োজন করেছি। সুবিধাটা সবাই পাবেন।

ভিডিও কনফারেন্সে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য আসছিল। অনেকেই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। যেমন বেশিরভাগ ছোট ছোট ব্যবসা, আমাদের কৃষি, কামার-কুমার-জেলে-তাঁতী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পোল্ট্রি, মৎস্য, ডেইরিসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় যারা নিয়োজিত সবাই একটা সমস্যা পড়ে গেছেন। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, তাদের ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা, সব কিছু নিয়ে। বিভিন্ন বিল, বিদ্যুৎ বা অন্যান্য বিল দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তাদের দুশ্চিন্তা দূর করার জন্যই আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজেই ভবিষ্যতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারা যাতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যটা ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারেন। কেউ কষ্ট করুক সেটা আমি চাই না। সবার কষ্টলাঘব করাটাই আমাদের দায়িত্ব।

সবাইকে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধিও আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্য এই বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক সঙ্কট হতে উত্তরণের জন্য রফতানি খাতের পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমি সকলকে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সকল প্রতিক‚লতা মোকাবেলা বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে আশ্চর্য এক সহনশীল ক্ষমতা এবং ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে জাতি মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে সে জাতিকে কোনো কিছুই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে। যেমন-বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের জন্য ভাতা কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা। মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সিআরআর এবং রেপোর হার কমিয়ে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যা আগামীতেও প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন মুদ্রা সরবরাহজনিত কারণে মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ
প্যাকেজ-১: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেয়া, ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেয়া। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণগ্রহিতা শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।

প্যাকেজ-২: ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান: ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সংশ্লিষ্টক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেবে। এ ঋণ সুবিধার সুদের হারও হবে ৯ শতাংশ। ঋণের ৪ শতাংশ সুদ ঋণগ্রহিতা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।

প্যাকেজ-৩: বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো: ব্লক টু ব্লক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ফলে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। ইডিএফের বর্তমান সুদের হার এলআইবিওআর + ১.৫ শতাংশ (যা প্রকৃত পক্ষে ২.৭৩ শতাংশ) হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
প্যাকেজ-৪: প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ।

প্যাকেজ-৫: ইতোপূর্বে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ৪টিসহ মোট ৫টি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা যা জিডিপির প্রায় ২.৫২ শতাংশ।

অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে সতর্কতা : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী ধরনের বা কতটুকু নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলার সময় আসেনি। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব তুলে ধরছি:
ক) আমদানি ব্যয় ও রফতানি আয়ের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অর্থবছর শেষে এই হ্রাসের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খ) চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ব্যাংক সুদের হার হ্রাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিলম্বের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত মাত্রায় অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গ) সার্ভিস সেক্টর বিশেষত, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, পরিবহন এবং এভিয়েশন সেক্টরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
ঘ) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
ঙ) বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা হ্রাসের কারণে এর ম‚ল্য ৫০ শতাংশের অধিক হ্রাস পেয়েছে, যার বিরূপ প্রভাব পড়বে প্রবাসী-আয়ের উপর।

চ) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩.০২ বিলিয়ন ডলার হবে মর্মে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রাক্কলন করেছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।

ছ) দীর্ঘ ছুটি বা কার্যত লকডাউনের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসম‚হের উৎপাদন বন্ধ এবং পরিবহন সেবা ব্যাহত হওয়ায় স্বল্পআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস এবং সরবরাহ চেইনে সমস্যা হতে পারে।

জ) চলতি অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হবে। এরফলে অর্থবছর শেষে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঝ) বিগত ৩ বছর ধরে ধারাবাহিক ৭ শতাংশের অধিক হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিল শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং সহায়ক রাজস্ব ও মুদ্রানীতি। সামষ্টিক চলকসমূহের নেতিবাচক প্রভাবের ফলে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে :
করোনা ইস্যুকে খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে খবর সংগ্রহের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা কোনোভাবে সংক্রমিত হোক, তা চাই না। সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করলে আমরা সাংবাদিকদের ডাকি। আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে বসি, কথা বলি, মতবিনিময় করি। কিন্তু আমরা আজকে ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবস্থা নিয়েছি এই কারণে যে, আপনারা ঘোরাঘুরি করতে যেয়ে যেন কোনোভাবে (করোনাভাইরাসে) সংক্রমিত না হন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, টেলিভিশনের মাধ্যমে আপনাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। হয়তো প্রশ্নোত্তর এখন নিতে পারব না, তবে ভবিষ্যতে যখন ভালো সময় আসবে আপনাদের গণভবনে দাওয়াত দেয়া হবে। (তখন) মন ভরে আপনারা প্রশ্ন করতে পারবেন, (আমরা) উত্তর দিতে পারব, সে ব্যবস্থাটা আমরা নেবো।

দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি, পূর্বে এবং আজকে ঘোষিত আর্থিক সহায়তার প্যাকেজসমূহ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমরা কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

গণভবনে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।



 

Show all comments
  • Mohammed Shahidul Islam ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 1
    Appreciate the leader , Dear PM , thank you very much for your timely support and endeavour for combating the Pandemic, which mankind never seen before . Allah Mallik
    Total Reply(0) Reply
  • Anu Mostafa ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    How the incentives be reach to poor people's. By the way all most all level of Gov't officials , up chairman ,members party workers are highly corrupted
    Total Reply(0) Reply
  • Farhad Hossain ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    Dear Honourable Prime Minister, I personally thank you from my bottom of heart that your great initiative in this pandemic situation and declared massive budget/package, However, I am sure that you have forgotten to include the hospitality industry. kindly have in mind that we also contributing revenue to the country and also foreign currency. Therefore, I am humbly requesting to you please please please think for the hospitality industry because we’re suffering too. Thank you , Farhad Hossain
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Ashik Shakil ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    Most of the Banks are open & flooded with people. If our government do not take necessary steps then we Bankers, our family & the customers will get affected by COVID19.
    Total Reply(0) Reply
  • Bazlurrashid Rashid ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    PM always takes good decision, but some people don't understand how she's doing better today.
    Total Reply(0) Reply
  • Shafiqur Rahman ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    পোলট্রি শিল্প ক্ষুদ্র প্রান্তিক ব্রয়লার,লেয়ার,সোনালি খামারি, আজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে,উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায়, বাজার দর মাংস এবং ডিম দাম কম হয় খামারিরা চরম লোকসান দিয়ে পথ বসে গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ যুবক যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং নিয়ে পোলট্রি মুরগি চাষ করতেছে, কিন্তু এই শিল্প আজকে ধ্বংসের মুখে, তরুণদের একটা কিছু করুন
    Total Reply(0) Reply
  • সাখাওয়াত হোসেন ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    Thanks a lot our PM. We have faith in your mankind. Every crisis moment handle bravely with your strong hand.but most of your parliamentarian are corrupted,please please you can take steps and stop them,otherwise people never benefited from your kindness..also take the steps for your remittance fighters pls.pls.i believe from my heart only you can feeling the crisis of nations. Live long..God bless you PM.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Suman ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
    বড় বড় ব্যবসায়ীদের জন্য ভাল, কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য কোন সুবিধা নেই। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের দিকগুলোও বিবেচনা করবেন
    Total Reply(0) Reply
  • Momita Tangila ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
    Why we Bangladeshi people are so much selfish,how? In this tough & crisis time in our life,the Doctor & paramedics who will treat us, don't they need any support from Governments?
    Total Reply(0) Reply
  • Faruq Husain ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
    I request honorable PM to stress on agriculture & farming to avoid possible famine. Also education should get priority to protect future generation
    Total Reply(0) Reply
  • Halder Paresh ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
    ননএমপিও শিক্ষকগন কি খেয়ে বাঁচবে? ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিস্ঠা গুলো কে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন থেকে বাচিয়ে রাখুন।
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনি যে বিশ্ব মানবতার মা আজ জাতির কাছে শতভাগ প্রমানিত হলো। ইতিহাসের বৃহত্তম প‍্যাকেজ। মানবতার মহান আদশ‍্য দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ ব‍্যবসায়ী রাজনীতিবিদ সবাই উচ্চশীত প্রশংসনীয় সিদ্ধান্তের জন‍্য আনন্দীত আশান্বিত। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পকৃত স্বাদ উপকারিতায় জাতি এই কান্তি লগ্নে স্বীকার করছে। মহামারী করোনার সংকটময় জরুরী সময় বাংলাদেশের মানুষের আশা ভরসার শেষ ঠিকানা। আপনার মহত্বের প্রনোদনা রাষ্ট্রের শৃংখলা উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থেই বন্টন অত্যন্ত জরুরী। দেশের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের দোয়া আপনার সাথে। আপনার শারীরিক সুস্থতার দীর্ঘায়ু কামনা করছি মহান আল্লাহর পবিত্র দরবারে। আল্লাহ্ কঠিন অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষ কে আপনি হেফাজত করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুস সালাম ৬ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩৩ এএম says : 0
    আমার শুধু একটি প্রশ্ন,বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ কি ত্রাণের পাবে।যা একজন জনগণের নামে বরাদ্দ করা আছে।যদি এই বাংলাদেশের একজন মানুষ, এই ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়।তবে সে কার কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে। কারন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর যদি ত্রাণ বিতরণ করেন , তবে তা চুরি করে জনগণের হাতে ভিক্ষার থালা ধরিয়ে দেবে।বড় মাথাওয়ালা সব ব্যাটা চোর। জনগনের কাছে যেন সঠিক ভাবে ত্রাণ পোছায় সে ব্যবস্থা করুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • নূরুল্লাহ ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৩৮ এএম says : 0
    ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। কওমী মাদরাসার সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর জন্যও কিছু করবেন হয়তো।
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুস সালাম ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২৯ এএম says : 0
    আমার শুধু একটি প্রশ্ন,বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ কি ত্রাণের পাবে।যা একজন জনগণের নামে বরাদ্দ করা আছে।যদি এই বাংলাদেশের একজন মানুষ, এই ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়।তবে সে কার কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে। কারন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর যদি ত্রাণ বিতরণ করেন , তবে তা চুরি করে জনগণের হাতে ভিক্ষার থালা ধরিয়ে দেবে।বড় মাথাওয়ালা সব ব্যাটা চোর। জনগনের কাছে যেন সঠিক ভাবে ত্রাণ পোছায় সে ব্যবস্থা করুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মাহমুদুল হাসান ৬ এপ্রিল, ২০২০, ২:৫৪ পিএম says : 0
    কৃষি উৎপাদন মূলক কাজে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে বাংলাদেশ বড় ধরনের সংকট থেকে বেঁচে যেতে পারে। বর্তমান সময়ে কৃষি কাজ থেকে দূরে সরে গেছে কৃষকরা। কৃষকরা পুঁজি খাটিয়ে চোখেমুখে কিছুই দেখতে পায় না। এবছর কৃষক কৃষি কাজ থেকে দূরে সরে আছে। আমি গ্রামে বসবাস করি। আমাদের অঞ্চলে এ বছর অধিকাংশ ফসলি জমি খালি পড়ে আছে। তাই তাদেরকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • অালি অাহম্মদ ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:১৫ এএম says : 0
    অাপনা কে স্বাগতম, যে প্রবাসিরা ছুটিতে এসে এখন যেতে পারছেনা তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন অনুদানে ব্যবস্হা করা হক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ