Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনা ঠেকাতে ভারত কঠিন চ্যালেঞ্জে

বিবিসি | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারতে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভির করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। ধারাভি এমন এক জায়গা যেখানে করোনা মহামারীর বিস্তার ঠেকানোর জন্য নির্দেশিত ‘সামাজিক দূরত্ব’ একটি বিপরীতার্থক শব্দ। এটি সহজেই জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থার মধ্যেও মৃত্যুফাঁদে পরিণত হতে পারে এবং শহরের সম্প্রসারিত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সয়লাব করে দিতে পারে।
ধারাভিতে সংক্রমণ সীমিত রাখতে সেখানকার ৯টি ৬ তলা ভবনের ৩০৮টি অ্যাপার্টমেন্ট ও ৮০টি দোকান পুরোপুরি সিল করে দেয়া হয়েছে। সেখানকার প্রায় ২ হাজার ৫শ’ বাসিন্দাকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় রাখা হয়েছে। খাবারের রেশন সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাপার্টমেন্টগুলি বিøচ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করেছেন।
মহামারীর ব্যাপক বিস্তারের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করেছে এবং দ্রæত পার্শ্ববর্তী একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ৩শ’ শয্যার একটি কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। তবে আদতে এসব পদক্ষেপ মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট নয় বলে মনে হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ধারাভিতে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর সেখানে বসবাসকারী একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ৩৫ বছর বয়সী এক ডাক্তার এবং সেই হাসপাতালের ২ নার্সের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ ঘটে। পৌরসভার কর্মীরা উক্ত ডাক্তারের বসবাসরত ভবনের ৩০০ লোককে আলাদা করে ভবনটি সিল করে দেয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির শ্লেষ্মা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয় এবং সপ্তাহান্তে একই বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ভেতরে একজন ৩০ বছর বয়সী মহিলা, ৬০ বছর বয়সী ধাতু তৈরির দোকানের মালিক এবং ২১ বছর বয়সী পুরুষ ল্যাব টেকনিশিয়ানের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ধারাভি অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পৌর কমিশনার কিরণ দিঘবকর বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যস্ত গেট লাগানো কলোনী ধরনের বস্তিগুলির সংক্রমণ সেগুলোর অভ্যন্তরে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তবে বাইরে যে বস্তিগুলো রয়েছে সেখানে যদি সংক্রমণ ঘটে, আমরা আলাদা করে তাদের বাড়িতে আটকে রাখতে পারবো না। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রমিতদেরও স্পোর্টস কমপ্লেক্স কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠাতে হবে।’
যদি তেমন ঘটে, তবে সংক্রমণ আটকে রাখার লড়াইটি একটি নিয়ন্ত্রণ হারানো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে এবং স্থানীয় হাসপাতাল ও অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো সহজেই করোনা সংক্রমণের চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ