Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশে লবণের মজুদ ১০ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

২০২০ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মাঠ ও মিলে সব মিলিয়ে মোট ১০ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত আছে। এর বাইরেও দেশের সব জেলার ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়েও আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুত আছে। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত আছে। বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের মোট চাহিদা ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুত ও মূল্য সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে চলতি বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর লবণ মৌসুমে এ সময় লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে মোট নিবন্ধিত লবণ মিলের সংখ্যা ২৭০টি। এরমধ্যে করোনা প্রভাবের আগে ১৮০ মিল চালু ছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ১৭০টি মিল চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে স্বল্প পরিসরে চালু রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে ৭৩ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ ও ৫৫ হাজার ২৬ মেট্রিক টন আয়োডিনবিহীন শিল্প লবণ উৎপাদিত হয়েছে। করোনার প্রভাবে বর্তমানে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে প্রক্রিয়াজাত ও আয়োডিনযুক্তকরণ ও বাজারজাতকরণে বিসিক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে । করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে লবণ মিলগুলো চালু রাখার জন্য বিসিকের পক্ষ হতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রাখতে চাহিদা অনুযায়ী লবণ মিলগুলোতে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, বিসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে মাঠে লবণ উৎপাদন, মিলে লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আয়োডিনযুক্তকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানসহ নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, লবণ চাষিদের নিয়মিত আবহাওয়া সংবাদ প্রদান, লবণ উৎপাদন ও মজুত বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান, ক্রুড লবণ বাজারজাতকরণের জন্য লবণ চাষি ও মিলারদেব সাথে যোগাযোগের মাধ্যম সমন্বয় সাধন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া লবণ মিলে শিল্প ও আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, বিক্রি, মজুত ও মূল্য সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে তা বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লবণ

২৪ নভেম্বর, ২০২১
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ