Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় শুনশান নীরবতার সাথে নীরব হাহাকার

মূল্য হ্রাস বকেয়া আদায় সহ হালখাতা কিছুই হচ্ছেনা এবার

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৮ পিএম

করোনার অঘোষিত লক ডাউনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা, বরিশাল মহানগরীর চকবাজার,গীর্জা মহল্লা, বাজার রোড ও কাটপট্টিতে এখন শুনশান নিরবতার সাথে নিরব হাহাকার। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে রেডিমেট গার্মেন্ট,থানকাপড়,মশলা আর মুদি মালামাল থেকে শুরু করে নানা পণ্যের পাইকারী ও খুচরা সরবারহ হয় এখান থেকে। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত জুয়েলারী সপও কাটপট্টিতে। নগরীর চালের পাইকারী বাজার ফরিয়াপট্টি ও পেয়াঁজ পট্টিও জনমানব শূণ্য প্রায়।

প্রতিবছর পহেলা চৈত্র থেকে মাসব্যপী মূল্য হ্রাসের ঘোষনা দিয়ে পরেনো মজুদ খালি করেন ব্যবসায়ীগন। ফলে নারী-পুরুষ সবাই হুমড়ি খেয়ে পরেন কাটপট্টি, চকবাজার, গীর্জামহল্লা, বাজার রোড ও এর সন্নিহিত অলিগলির দোকানগুলোতে। কোটি কোটি টাকার পণ্য বিক্রী করে ব্যবসায়ীরা বাংলা নতুন বছরের খাতা খোলেন। সাধারন ক্রেতারাও অপেক্ষায় থাকতেন চৈত্রের এ মূল্য হৃাসের জন্য। অনেক পরিবারই বাজার দর অপেক্ষা কম মূল্যে কাপড় সহ বিভিন্ন পণ্য কেনার সুযোগের অপেক্ষায় থাকতেন। এমনকি ৩০ চৈত্র পর্যন্ত মূল্যহ্রাসে বিক্রী শেষ করে পহেলা বৈশাখ হালখাতা করে বকেয়া আদায় করতেন ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস আতংক সব শেষ করে দিয়েছে। ২৫ মার্চ, চৈত্রের ১১ তারিখের পরে সব দোকানপাট বন্ধ। পুরো চৈত্র মাস যুড়ে যে কাটপট্টি, চকবাজারে পা ফেলা দায় ছিল, রিক্সা পর্যন্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয় যেত। সেখানে এখন কাক-পক্ষিরও দেখা নেই। ছোট-বড় সব দোকানেই ঝুলছে তালা। রস্তায় কোন মানুষও নেই। মাঝে মধ্যে পুলিশ সহ আইনÑশৃংখলা বাহিনীর গাড়ীর হুইসাল নিরবতা ভঙ্গ করছে।

তবে বুধবার চকবাজার ও কাটপট্টির একাধীক ব্যবসায়ীর সাথে সেল ফোনে কথা হলে কেউই দীর্ঘ শ্বাস চেপে রাখতে পারেন নি। সবারই একটি কথা, ‘আমাদের কি হবে ? চৈত্র মাসে সারা বছরের জমে যাওয়া স্টক খালি করে পহেলা বৈশাখ নতুন মজুদ দিয়ে ব্যাবসায় প্রান ফিরত। কিন্তু এবার পুরনো মজুদের বোঝার সাথে দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন আর বিদ্যুৎ বিল কোথা থেকে আসবে’ ? কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে ধাকলেও তা আদায়ের সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে মার্চ মাসের বেতন না পেয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সব বেসরকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সংসার অচল হবার পথে।
জুয়লারী সপগুলোও পহেলা বৈশাখ হালখাতা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া করতেন। সেখানেও ছেদ পড়েছে এবার। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান জুয়েরালী ব্যাবসাতেও ধশ নামার শংকা বাড়ছে। কোটি কোটি টাকা বকেয়া আদায় করতে না পারলে অনেক জুয়েরারী দোকানের অস্তিত্বে টান পড়বে বলেও শংকিত ব্যাবসায়ী মহল।



 

Show all comments
  • **হতদরিদ্র দিনমজূর কহে** ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৩৮ পিএম says : 0
    দখ্খিনান্চলের প্রথম সারির নেতাদের নাম কোন পত্রিকায় ও দেখছিনা।একজন ভিখ্খুক ও তার সন্ঞিত সন্ঞিত ১২ হাজার টাকার ত্রান বিলিয়ে দিয়েছে।কিন্তু এ অন্চলের অনেক নেতার নাম আমরা দেখছিনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ