Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি হিমুকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান হিমু (৩৫) গুলি করে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর রুপনগর থানাধীন ইস্টার্ণ হাউজিং ক ব্লকের একটি খালি প্লট থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাবেক এ ছাত্র নেতার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা আলতাফ হোসেন মন্টু এ হত্যাকা- ঘটিয়েছেন বলে দাবি করছে তার পরিবার। লাশ উদ্ধারকালে নিহতের মাথায় তালুতে আঘাতের চিহ্ন, গলায় দাগ, কানে জখম ও নাকে মুখে রক্ত ছিল। ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হিমুর ভাই সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, পুরান ঢাকার ওয়ারী থানাধীন ২৬/১ লারমিনি স্ট্রিটের নিজ বাসায় প্রথম স্ত্রী লাবণ্য ও একমাত্র শিশু সন্তান বসবাস করতো হিমু। শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে বের হন তিনি। এর পর থেকে তার খোঁজ মেলেনি। গতকাল দুপুরে রুপনগরের খালি প্লট থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেন। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতলবুর রহমান জানান, লাশের পাশ থেকে জিআই তার উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হয় তাকে শনিবার রাতের যে কোন সময় অন্য কোথাও হত্যার পর দুর্বৃত্তরা রূপনগরে লাশ ফেলে গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল মর্গে নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান আরো জানান, এ হত্যাকা- ঘটিয়েছেন হিমুর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা আলতাফ হোসেন মন্টু। তিনি জানান, হিমুর প্রথম স্ত্রীর নাম লাবণ্য। সেই ঘরে তাদের এক ছেলে রয়েছে। হাবিবুর রহমান আরও বলেন, লাবণ্যর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কয়েক বছর আগে মলি নামে একটি মেয়ের পরিচয় ছিল হিমুর। কয়েক মাস আগে হিমু মলিকে বিয়ে করেন। তিনি বলেন, মলির সঙ্গে হিমুর পরিচয় থাকাকালে মলির বাবা আলতাফ হোসেন হিমুর বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা করেন। ওই মামলায় হিমু একমাস জেলও খাটেন। পরে হিমু জেল থেকে বের হয়ে তার নামে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন (নম্বর- ২৯৫)। কিছুদিন আগে মলি তার আগের ঘরের দুই সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় চলে যান। মলিকে বিদেশে পাঠিয়ে তার বাবা হিমুকে হত্যা করে। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় নিহতের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক চিকিৎসক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, নিহতের মাথায় ১ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। তাছাড়া শ্বাসরোধের ও চিহৃ রয়েছে।
মিজানুর রহমান হিমু ২০১২-২০১৩ মেয়াদে জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। এরপর পদে না থাকলেও পুরান ঢাকায় জাতীয় পার্টির অন্যতম সংগঠক ছিলেন হিমু। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে মতবিরোধ দেখা দিলে হিমু পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের পক্ষ নিয়ে নির্বাচনবিরোধী অবস্থানে গিয়েছিলেন। হিমুর বাবা মরহুম সৈয়দ আতাউর রহমান। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার মালিয়ায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি হিমুকে গুলি করে হত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ