Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১০০ চিকিৎসকের মৃত্যু, হু’কে অগ্রাহ্য করেই লকডাউন তুলছে ইতালি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৩৭ পিএম | আপডেট : ৭:৩৮ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২০

শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯ জন, মৃতের সংখ্যা ৯৭ হাজার ১৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৩ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সতর্কতা সত্ত্বেও আগামী সপ্তাহে সারা দেশে দোকানগুলো খুলে দিচ্ছে ইতালি। করোনাভাইরাসের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় লকডাউনে থাকার পরে ব্যবসা শুরু করার এবং লোকেদের কাজে ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এদিকে, ইতিমধ্যে দেশটিতে অন্তত ১০০ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনা মহামারিতে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হচ্ছে ইতালি। মৃত্যু সংখ্যায় বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। তবে কর্মকর্তারা আশাবাদী যে এই মারাত্মক রোগের বিস্তার কমছে, নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মানুষ কাজে ফিরতে পারবেন। আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হতে পারে, এবং ৪ মে থেকে সবাইকে বাইরে যাবার এবং কাজে ফেরার অনুমতি দেয়া হতে পারে।

ইতালির শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সিলভিও ব্রুসাফেরো বলেছেন, ‘সংক্রমণের সংখ্যা শীর্ষে উঠার পর এখন নামতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছি। এই রোগের বিস্তার কমিয়ে রেখে সবকিছু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক করা দরকার।’

মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ফ্যাব্রিজিও প্রেগ্লিয়াসকো বলেন, ‘সংক্রামকটি কীভাবে বিকশিত হয় তার উপর নির্ভর করে মে মাসের প্রথম দিকে মানুষকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের সামাজিক-দূরত্বের বিধিগুলি বজায় রাখতে হবে এবং দলগত ভাবে চলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে।’

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার লকডাউন তোলার বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়েছে। ইউরোপে কোভিড-১৯ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হু’র প্রতিনিধি ডাঃ হান্স ক্লুগে বলেছেন, ‘সংক্রমণের শেষ দিকে চলে এসেছি, এমনটা মনে করা বিপজ্জনক’ তিনি বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের লকডাউন তোলার সময় নয়।’

এদিকে, কোভিড-১৯ রোগীদের সারিয়ে তুলতে গিয়ে ইতালিতে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০০ চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার দেশটির একটি স্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশন এই তথ্য জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশনের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকদের মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ১০০ জন।

ইতালির সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও অন্তত ৩০ জন নার্স ও নার্স সহকারীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এফএনওএমসিইও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিলিপ্পো আনেল্লি বলেন, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কোনও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে সুরক্ষা ছাড়া পাঠাতে পারি না। এটি অসম লড়াই। রোমের আইএসএস পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউটের আশঙ্কা, ইতালিতে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ২৭৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ হাজার ৪৭০ জন। সূত্র: দ্য সান, ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ