Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকারি নির্দেশ উপেক্ষিত চাটখিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জমজমাট কোচিং বাণিজ্য

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাটখিল (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা

রমজান মাসে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও চাটখিলের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুলগুলো এ নির্দেশ না মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখে। শুধুমাত্র কোচিং-এর নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয় বলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, চাটখিল উপজেলার ২৮টি সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুলের মধ্যে দু’একটি বাদ দিয়ে বাকি স্কুলগুলো রমজান মাসে খোলা রেখে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদেরকে কোচিংয়ে বাধ্য করে প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ৫শ’ থেকে এক হাজার টাকা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। যারা কোচিংয়ে অংশগ্রহণ করেনি তাদেরকেও কোচিংয়ের ফিস দিতে বাধ্য করা হয়। স্কুলগুলোতে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়ার আগেই কোচিংয়ের টাকা আদায় করা হয়। যারা কোচিং-এর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদেরকে পরীক্ষায় প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি অনেককে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা সদরের ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত হোসেন হৃদয় অভিযোগ করে বলে, পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষা দিতে গেলে সে কোচিং না করলেও শ্রেণি শিক্ষক তাফাজ্জল হোসেন বিএসসি তাকে কোনো রশিদ না দিয়ে তার থেকে কোচিংয়ের টাকা আদায় করে। কোচিং না করায় এবং টাকা দিতে দেরি করায় তাকে ২ ঘণ্টা পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়। চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ ছাত্রীর অভিভাবক সুন্দরপুর গ্রামে নুরুল আমিন জানান, তার মেয়ে ও নাতিন কোচিংয়ে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের কাছে কোচিং ফি বাবদ দুই হাজার টাকা দাবি করা হয়। তিনি এক হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও স্কুলের করনিক পুরো টাকা ছাড়া মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক জানান, পবিত্র রমজানে সরকার স্কুল বন্ধ রাখলেও প্রধান শিক্ষকরা চাপ দিয়ে তাদেরকে কোচিং ক্লাস নিতে বাধ্য করে। এ ব্যাপারে ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেন-এর সাথে কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল ওহাব কোচিং ফি বাবদ এক হাজার টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও যারা কোচিং করেনি তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। চাটখিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কোচিংয়ে বাধ্য করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবরাউল হাসান মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সরকারি নির্দেশ উপেক্ষিত চাটখিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জমজমাট কোচিং বাণিজ্য
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ