Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লকডাউন : নোয়াখালীতে দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য সহায়তা চালু করা প্রয়োজন

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২০, ২:০৯ পিএম

গত ২৫ মার্চ থেকে গৃহে অবরুদ্ধ রয়েছে নোয়াখালীর ১৮লাখ অধিবাসী। উপরোন্ত আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অনিদ্দিষ্টকালের লকডাউন। এতে করে অভাবী পরিবারের দূর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতিমধ্যে লাখ লাখ বেকার গৃহে অবস্থান করছে। রুটি রুজির পথ বন্ধ হয়ে গেছে এসব মানুষের। কবে নাগাদ করোনা জট খুলবে সেটাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। অপরদিকে বিত্তবানরা অনেক আগেই বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী মজুত করেছে।

মেঘনা উপকুলবর্তী জেলা নোয়াখালী সদর, সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও মেঘনাবেষ্টিত হাতিয়া উপজেলার ৭০ শতাংশই কৃষি নির্ভর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এরমধ্যে ৪০শতাংশ দিনমজুর। দীর্ঘদিন গৃহে অবস্থানের কারনে এদের অধিকাংশ পরিবার খাদ্য সংকটে ভুগছে।

সম্প্রতি সরকার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দের পরিমাণ অতি নগন্য। এছাড়া প্রশাসনের উদ্যোগে সীমিত পরিমানে খোলা বাজারে ১০টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

নোয়াখালীর ৬টি নির্বাচনী আসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিত্তবানরা গরীবদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে এখনো খাদ্য সহায়তা পৌছেনি।

এমতাবস্থায়, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায়দের একটি সুনিদ্দিষ্ট তালিকা
প্রস্তুত করে দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা না হলে এতদ্বঞ্চলে দূর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছে জেলার সচেতন মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ