Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাণীশংকৈলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ৫২ জন মানবেতর জীবন যাপন, পরে ছেড়ে দিল প্রশাসন

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৩১ পিএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে করোনা ভাইরাস সন্দেহ ৫২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ১১ দিন পর ছেড়ে দিল প্রশাসন। তারা মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে এমন ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ছিল। ভুক্তভোগী ইমদাদুল মোবাইল ফোনে সাংবাদিককে জানান, ১৩ এপ্রিল নেকমরদ ইউনিয়নের আলশিয়া গ্রাম থেকে তাদের দুই ভাইসহ ৪ জনকে করোনা ভাইরাস সন্দেহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন তারিখে মোট ৫২ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।

সাংবাদিক ঝুকি নিয়ে সরে জমিন পরিদর্শন করেন। এসময় কোয়ারেন্টিনে থাকা জাহিদুল, শহিদুল, রঞ্জিত সহ মহিলারা দৈনিক ইনকিলাবকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, (করোনার) নমুনা টেস্টের নাম করে তাদের অস্বাস্থ‍্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে। করোনা সন্দেহে তাদের প্রতি অযত্ন অবহেলা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছে তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ করেন ৫২ জনের জন‍্য একটি মাত্র টিউবওয়েল, অস্বাস্থ‍্য সম্মত পায়খানা একটি, রক্তমাখা পুরাতন বিছানার চাদর, মুশারি বিহীন, খাবারও দেয়নি তাদের । তারা বলেন, গত ১৬ এপ্রিল সকালে ৩৫ জনের জন‍্য নাস্তা হিসাবে ২ কেজি চিড়া এবং ১কেজি চিনি দেওয়া হয়। তাও আবার দুরগন্ধযুক্ত অস্বাস্থ‍্যকর খাদ‍্য। মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে তারা । তারা বলেন সাংবাদিক ছাড়া তাদের খোজখবর নেইনি কেউ। তাদের জন‍্য এসব ব‍্যবস্থা করতে না পারায় প্রশাসন তাদের ১৭ এপ্রিল সন্ধ‍্যায় ছেড়েদেয় ।

এদিকে ৫২ জনের মধ‍্যে মহিলাও রয়েছে ৪ জন। তাদের জন‍্যও ছিলনা কোন গোসলখানা। তার পরেও সেখানে উলঙ্গ একজন পাগলী রয়েছে। তার চিৎকার আর হট্টগোলে সকলে অসুস্থ‍্য হয়ে পড়েছে। দেখার কেউ ছিলনা।কর্তৃপক্ষের নমুনা টেস্টে অবহেলা ছিল। এমন অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম‍্যান শাহরিয়ার আজম মুন্নার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অস্বাস্থ‍্যকর পরিবেশে থাকার কারনে তাদের নমুনা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এপ্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ‍্য প:প কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সামাদ চৌধরী বলেন, তাদের দায়িত্ব নমুনা টেস্ট এবং আক্রান্ত রুগীদের চিকিৎসা দেওয়া। বাকী দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

আর এম ও ডা: ফিরোজ আলম জানান, ৬ এপ্রিল থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে লজিস্টির স্বল্পতার কারণে করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে দেরী হয়েছে। তিনি বলেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা এপর্যন্ত ৭৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ‍্যে ৪৩ জনের নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকী মহিলা ৪জন সহ ৩৪জনের নমুনা ১৬ এপ্রিল সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ৩৪জনের রিপোর্ট আগামী রবিবারের মধ‍্যে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রুগী পাওয়া যায়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ