Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহী অঞ্চলে মুরগী খামারীরা বেকায়দায়

নেই ঔষধ নেই খাবার শুরু হয়েছে মড়ক

রেজাউল করিম রাজু | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৭ পিএম

করোনার প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর অঞ্চলের মুরগী খামার গুলোয়। ঔষধ আর খাবারের অভাবে মড়ক লেগেছে খামারে। বাজারে ডিমের দামও কমে গেছে। খামার থেকে প্রতি শত ডিম বিক্রি হচ্ছে চারশো টাকা। অথচ একটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ে ছয় টাকা।
রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠে মুরগীর খামার মনোয়ার কবিরের। মূলত তার খামারে ডিম হয়। দিন পনের আগে হঠাৎ দেখা দেয় সিজিনাল অসুখ। কিন্তু প্রয়োজনীয় ঔষধ দিতে পারেননি। আবার মুরগীগুলো সময়মত বিক্রি করতে পারেননি। তার একটি সেডের সাড়ে তিন হাজার ডিমপাড়া মুরগী মারা গেছে। অন্য সেডগুলোর অবস্থা ভাল না। যে ডিম পাওয়া যাচ্ছে তার ক্রেতাও নেই। চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন। তার খামার বন্ধের পথে। শুধু কবির নন মোহনপুরের গোহাইল গ্রামের শামসুলের খামারে ছিল সোনালী জাতের মুরগী। এগুলো খাবারের জন্য বাজারজাত করা হতো। ঔষধ আর প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দিতে না পেয়ে তার প্রায় আড়াই হাজার মুরগী মারা গেছে। বাঘার খামারী এনামুল জানান, তার মুরগী গুলোর ডিম পাড়ার সময় হয়েছে। কিন্তু মুরগী গুলো পর্যাপ্ত খাবার আর ভ্যাকসিনের অভাবে ঝিমিয়ে পড়ছেন। জেলার সর্বত্র মুরগীর রোগ দেখা দিয়েছে। নিয়মিত ভ্যাকসিন না দিলে মুরগী বাঁচানো দুরূহ হয়ে পড়বে।
খামারীরা জানান বাজারে সব দোকান লকডাউনের কারনে বন্ধ। যে দু’চারটি দোকান খোলা রয়েছে সেখানেও মিলছেনা ঔষধ ও মুরগীর খাবার। পোল্ট্রি ফিডের কারখানা গুলো বন্ধ। পরিবহন বন্ধের কারনে সরবরাহ নেই। ফলে মুরগীর খাদ্যের সংকট শুরু হয়েছে। আগে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে নিয়মিত ভ্যকসিন দেয়া হতো। সেই ভ্যাকসিনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজশাহী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অন্তিম কুমার সরকার জানান, ঢাকা হতে তাদের দপ্তরের লোক পাঠিয়ে ভ্যাকসিন আনতে হয়। লকডাউনের কারনে এখন তা সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানে তৈরী হয় সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের কিছু করা সম্ভব হচ্ছেনা।
মুরগী খামারীরা বলছেন এ অবস্থা আর কিছুদিন চলতে থাকলে খামারে না থাকবে মুরগী আর না থাকবে ডিম। আসন্ন রমজানে মুরগী আর ডিমের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে। আর খামারীরা লোকসানের মুখে পড়ার সাথে সাথে ঋণের ফাঁসটা আরো আটোসাঁটো হবে। সরকারকে বিষয়টার দিকে নজর দেবার প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ