Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন ‘আইরিন’

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিশ্বের ৩৩টি দেশের মতো চট্টগ্রাম বন্দরেও শুরু হয়েছে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বিরোধী যৌথ অভিযান, অপারেশন আইরিন। সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের নেতৃত্বে দুদিনের এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য-বৈধ বাণিজ্যের আড়ালে সবধরনের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা। বিশেষ করে বন্দর হয়ে যাতে কোন অস্ত্র গোলাবারুদ কোন সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্টির কাছে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে যৌথ অপারেশন 'আইরিন'। গত ৮ জুলাই থেকে বাংলাদেশে এ অভিযান শুরু হয়। মূলত দেশের বিমান, স্থল, নৌ বন্দরগুলোতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরফলে, বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে বলে মনে করছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে বিশ্বের এমন ৩৩টি দেশে যৌথভাবে এ অভিযান শুরু হয় গেল ৮ জুলাই। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে এ অভিযান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল তিনবছরে আমদানি-রফতানির আড়ালে আশিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অস্ত্র, মাদক বা বিস্ফোরক চোরাচালান। যা হুমকি তৈরি করেছে, বৈধ বাণিজ্যের জন্য। তাই এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন বন্দরে চালানো হয়েছে অপারেশন আইরিন। এক্ষেত্রে, যেসব কন্টেইনারে একাধিক আমদানি-রফতানিকারকের পণ্য রয়েছে, সেসব কন্টেইনারকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে অভিযানে। প্রথম দিনে অভিযান চালানো হয়েছে বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে। অভিযানে অংশ নিয়েছে বিজিবির ডগস্কোয়াড। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবৈধ কিছু মিলেনি বন্দরে। এর আগে গত ৩ দিন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এ তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে অভিযানে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ