Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নাসিরনগরে বয়স্ক ভাতার জন্য বুড়োদের জটলা, সংশোধন কবে হবো কে জানে?

নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক বাজার সোনালী ব্যাংকের নিচে বয়স্ক ভাতার জন্য বৃদ্ধ নারী পুরুষের এমন জটলা দেখা গেছে। যা করোনায় আক্রান্ত এলাকা হিসেবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বুধবার সকাল থেকে ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাভুক্ত ভাতা প্রাপ্ত শত শত বয়স্করা এভাবেই দীর্ঘ লাইনের গনজমায়েত করে ভাতা গ্রহণ করছে। সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন কথা যেন কেহই কর্নপাত করছেনা। করোনায় পুরো বিশ্ব যেখানে স্থবির, লকডাউনে পরিনত সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম এবং হাট-বাজার গুলোতে পূর্বের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করেই চষে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ প্রশাসনের সদস্য কিংবা সেনাবাহিনীর টহল যতক্ষণ চলে ততক্ষণ সামাজিক দূরত্ব মানলেও নিজ উদ্যোগে কেহই সচেতনতা কিংবা সামজিক দূরত্ব বজায় রাখছেনা। ইতোমধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় একই পরিবারের পাঁচজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়ে শাহআলম নামের একজন গত ৮ এপ্রিল মারাও গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সাংবাদকর্মী সহ জনপ্রতিনিধিরা উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ও হাট-বাজার গুলোতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করছে। কিন্তু কি আর করার আমরা সংশোধন কবে হবো কে জানে? উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র অহরহ দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে বয়স্ক ভাতার জন্য এমন জটলা চিত্র দেখে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা দৈনিক ইনকিলাবকে জানায়- বয়স্করা ভাতার জন্য যেভাবে নির্দেশনা পেয়েছে সেভাবেই গ্রহণ করছে। কিন্তু প্রতিদিন সকালে ফান্দাউক বাজারে এর চেয়েও বহুগুন লোক সমাগম হয়। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা এবং ক্রয় বিক্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও ফান্দাউক বাজারে সকাল বেলায় সব ধরণের ব্যবসায়ীদের দোকান খোলা দেখা যায়। বাজারে আগত লোকজন জানায় সরকার ও প্রশাসন লকডাউন সহ বারবার কঠোর নির্দেশনা দিলেও আমরা জনগণ যদি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে তা গ্রহণ না করি তবে কোন কিছুই আমাদের করোনার থাবা থেকে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া রেহাই দিতে পারবেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার অনেকেই দৈনিক ইনকিলাবকে জানায়- সরকার কর্তৃক ত্রাণ সামগ্রী উপজেলার অনেক ইউনিয়নে এখনো পৌছাইনি৷ যারা পাওয়ার যোগ্য তারা সঠিকভাবে পাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে সরকার যদি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ দায়িত্ব দেয় তবে এর সঠিক সুষম বণ্টন হবে বলে আমরা আশাবাদী। আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন এবং দলমত নির্বিশেষে সকলে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাম ও বাজার গুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবী জানাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বয়স্ক ভাতা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ