Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জুমার সরকারী খুতবা নিয়ে কাদের সিদ্দিকী যা বললেন

প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৭ এএম, ১৯ জুলাই, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মসজিদে মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রেরিত জুমার নামাজের খুদবা নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘জুমার নামাজে গিয়ে যে খুতবা শুনলাম, আর ১০ বার এ রকম খুতবা হলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। খুতবায় মনে হলো সব মুসলমান জঙ্গি আর সবাই ভদ্রলোক। কেন, হিন্দু-খ্রিস্টানরা জঙ্গি হতে পারে না? আমাদের মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য এই মৌলভী সাহেবরা উঠে পরে লেগেছে। আগে শুনতাম শুধু মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গি হয়, এখন দেখি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়ুয়া ছাত্ররাও জঙ্গি। সবাই জেনে রাখুন, মুসলমানদের সাথে জঙ্গিদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
গত শুক্রবার বিকেলে দলের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা শাখা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। আশা করি গুলশান ও শোলাকিয়া হামলাসহ সকল জঙ্গি হামলার বিচার আপনি করবেন। এ সময় তিনি মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও হাসানুল হক ইনুর অতীত কর্মকা-ের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। তিনি বলেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ঢোল বাজাতে চেয়েছে। সেই মতিয়া চৌধুরীর বিচার করুন। হাসানুল হক ইনু গণবাহিনীর সহকারী প্রধান ছিলেন তার বিচার করুন। তাদের মন্ত্রিসভায় বগলতলে রেখে অন্য অপরাধীদের বিচার কিভাবে করেন এমন প্রশ্ন তুলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করে বিচার করুন। কাদের সিদ্দিকী ওই দুই মন্ত্রীর অতীতে বঙ্গবন্ধুবিরোধী সকল অনৈতিক কাজের কড়া সমালোচনা করেন।
জাতীয় ঐক্য গড়ে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দেশকে রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন বাজি রেখেছে তারা আজ আর আওয়ামী লীগে নেই। আর যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তারা আপনার চার পাশে বসে রয়েছে। তাই ১৯৭৪ সালে যারা গণবাহিনী করে দেশের মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনিই বলেন দেশ এখন বিপদে আছে, অথচ সাত বছরে একবারও কোন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরণের উপায় খোঁজেননি। এখনই সময় দল-মত ভুলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে রক্ষা করুন। তা না করে যদি দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করেন তাহলে কোন বাঙালিই তা মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ৭ বছরে কোন জাতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেননি। আপনি জনবিচ্ছিন্ন সরকার নিয়ে দেশকে ধ্বংস করতে পারেন না। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেহে যতক্ষণ রক্ত আছে এর প্রতিবাদ করবোই। হাসমত আলীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, জেলা সভাপতি এএইচএম আব্দুল হাই, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবীবুন্নবী সোহেল প্রমুখ।



 

Show all comments
  • হোসাইন ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১:১৬ পিএম says : 0
    এই বিষয়টির প্রতিবাদ করায় বঙ্গবীরকে অসংখ্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জুমার সরকারী খুতবা নিয়ে কাদের সিদ্দিকী যা বললেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ