Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেত্রাঘাতের শাস্তি বাতিল করছে সউদী আরব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সউদী আরবে চাবুক বা বেত্রাঘাতের শাস্তি থাকছে না। তার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে জেল-জরিমানা করা হবে। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের এক নথিতে এমনটা বলা হয়েছে। সউদী যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর দেশটিতে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, তার অংশ হিসেবেই সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
সউদী আরবের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয় বেত্রঘাতের বদলে কারাদন্ড বা জরিমানার মত শাস্তি দেয়া হবে। মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মীরা এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তবে সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত সব ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। যেমন- শারীরিক শাস্তি অঙ্গ কেটে দেয়া বা অন্যান্য ক্ষেত্রে তা অব্যাহত থাকবে। এর ফলে শাস্তি কার্যকরের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রিন্স সালমান দায়িত্ব নেয়ার পর ২০৩০ সাল পর্যন্ত যে সংস্কার কর্মস‚চি হাতে নিয়েছেন তার মূলমন্ত্র হলো- তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অর্থ উপার্জন করা। এ জন্য পর্যটন, বিনোদন ও অন্যান্য বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর দেশটিতে চালু হয়েছে সিনেমা হল। এ ছাড়া নারীদের গাড়ি চালানো, মাঠে গিয়ে খেলা দেখা, কনসার্ট দেখা, অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়া পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও বিদেশ ভ্রমণের অনুমতিসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চাবুক মারার শাস্তির বিষয়টি শেষবার বিশ্বব্যাপী আলোচনা তৈরি করেছিল ২০১৫ সালে, যখন বøগার রাইফ বাদাউইকে সাইবার অপরাধ এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে বেত্রঘাতের শাস্তি দেয়া হয়। রাইফ বাদাউইকে দশ বছরের জেল এবং এক হাজার বেত্রঘাতের শাস্তি দেয়া হয়েছিল। বাদাউই’র কারাদন্ড চলাকালীন ঐ এক হাজার বেত্রঘাত প্রতি সপ্তাহে দফায় দফায় মারার কথা ছিল। ২০১৫’র জানুয়ারিতে তাকে ৫০ বার বেত্রঘাত করাও হয়। কিন্তু ঐ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর সউদী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। ফলস্বরুপ রাইফ বাদাউইর বেত্রঘাতের শাস্তি স্থগিত করা হয়।
বিবিসি’র আরব সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান আশারে’র মতে, ঐ ঘটনা সউদী আরব সরকারের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বেত্রঘাতের প্রথা চিরতরে নিষিদ্ধ করতে চাইছে তারা। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ