Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ত্রান নিয়ে চাঁদাবাজি, অনিয়ম বরদাশত করা হবে না-ত্রাণ বিতরনকালে হুইপ ইকবালুর রহিম

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২০, ৩:১৮ পিএম

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, ত্রান নিয়ে কেউ চাঁদাবাজী, অনিয়ম ও দুর্ণীতি করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে যতবড় শক্তিশালী হউক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ব্যক্তির চেয়ে সরকার অনেক বেশি শক্তিশালী। যে যেই দল করুক না কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্রদের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। দেশের কোন মানুষ খাদ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হবে না। পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য মজুদ রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায় দেশের প্রতিটি মানুষ যেন ভাল থাকে, শান্তিতে থাকে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে ঘরে বসেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সারা দিয়ে বিত্তশালী মানুষজন যেভাবে জনগনের সেবায় নিজেরা এগিয়ে এসেছেন চিকিৎসকসহ সর্বশ্রেনীর পেশার মানুষ যেভাবে করোনা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছেন এ জন্য তাদের প্রতি করোনা যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিন করোনামুক্ত সুস্থ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ।

২ মে শনিবার দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের শালকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ১৬’শ পরিবারের মাঝে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইসাহাক চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ জামাল সরকার. যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সালাম সরকার প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় ২৫০ শয্যা দিনাজপুর জেনারেল সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় যোগ দেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এ সময় বলেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এ দেশের করোনা যোদ্ধা (বীর) হয়ে থাকবে আজীবন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এ ত্যাগের পুরস্কার নিজেই দিবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের উৎসাহিত করার জন্য প্রনোদনা ও বীমার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের পাশে সরকার আছে ও থাকবে। উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা দিনাজপুর জেনারেল সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা: মোঃ আহাদ আলী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ পারভেজ সোহেল রানা, সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা: মোঃ ওয়াহেদুল হক, (অর্থো সার্জারি) ডাঃ মোঃ খতিব সফিউর রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ত্রাণ বিতরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ