Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাস্তায় ওরা কারা

লাখ লাখ কর্মব্যস্ত মানুষ দুই মাস ঘরেই কাজকর্ম করছেন রাস্তা-মার্কেট-ত্রাণ বিতরণের লাইনে একই শ্রেণির মুখ

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

দেশে প্রতিদিন করোনাভাইরাস সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছে। সামাজিক ট্রান্সমিশন ঠেকাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ‘সামাজিক দূরত্ব’ রক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। সরকারি ছুটি, গণপরিবহন বন্ধ এবং লকডাউনের মধ্যে সরকার মানুষকে ‘ঘরে থাকা’র পরামর্শ দিচ্ছেন। 

কিন্তু প্রতিদিন রাজধানী ঢাকার মার্কেট, রাজপথ থেকে শুরু করে অলিগলিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ চোখে পড়ে। ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা এসব ব্যাক্তি সর্বত্রই করোনা ঝুঁকি ছড়াচ্ছেন। কারণে-অকারণে কেউ রাস্তায় নামছেন, কেউ ফুটপাথের চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ অযথাই কেনাকাটার নাম করে রাস্তায় চলাফেরা করছেন, কেউ বা ফাঁকা মহানগর পেয়ে প্রাইভেট কার নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছেন।
ট্রাফিক পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মোড়ে মোড়ে যখন মানুষ ও যানবাহন থামিয়ে রাস্তায় নামার কারণ জানতে চাচ্ছেন; তখন বেশির ভাগ মানুষই ঠুনকো হাস্যকর অজুহাত দেখাচ্ছেন। করোনার সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে সবাই যখন ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তখন কারণে-অকারণে প্রতিদিন যারা রাস্তায় নামছেন তারা আসলে কারা? বিবেক বিবর্জিত মানুষগুলোর পরিচয় কি।
জানতে চাইলে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, করোনার সামাজিক ট্রান্সমিশন ঠেকানো সামাজিক দূরত্ব রক্ষা আবশ্যক। দুঃখজনক হলো কিছু মানুষ বিবেকহীনের মতো অহেতুক ঘোরাফেরা করেন। এতে সংক্রমন আরো ছড়িয়ে পড়ছে। জাতির বৃহৎ স্বার্থে সরকারের উচিত লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা।
দেশে করোনা সংক্রমনের দুই মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল শুক্রবার। এই দীর্ঘ সময়ে পর্যবেক্ষণ করে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়, ঢাকা শহরের বিপুল সংখ্যক তথা দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ঘরবন্দি। এদের কেউ কেউ অতি প্রয়োজনে দু’এক ঘণ্টার জন্য বের হলেও নিজেকে নিরাপদ রেখেই চলাফেরা করেন। আর বেশির ভাগ মানুষ কার্যত বের হন না। ইট-পাথরের ঢাকা শহরে লাখ লাখ মানুষ উচু বিল্ডিংয়ে ফ্ল্যাটে থাকেন। তাদের অধিকাংশই প্রতিদিন আকাশ-বাতাস দেখলেও দুই মাস থেকে মাটির দেখেন না। এমনকি অনেকেই আকাশও দেখতে পান না দুই মাস ধরে।
কর্মজীবনে দুই এবং তিনটি অফিস করতে হয় এবং প্রতিদিন সকাল ৯টায় ঘর থেকে বের হয়ে গভীর রাতে ফিরতে হয় কাজের চাপে। এমন ব্যস্ত মানুষও করোনার কারণে ঘরে বসে কাজকর্ম সারছেন। করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় ঘরে অবস্থান তারা মানিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রতিমাসে দুই তিন বার বিদেশ যেতেন এমন ব্যস্ত ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের বেশির ভাগ মানুষ করোনার কারণে স্বেচ্ছা ঘরবন্দি। বন্ধু-বান্ধব এবং নেতাকর্মী ও সহকর্মীদের ছাড়া যারা সকালের নাস্তা করতেন না; তারাও করোনায় এত ঘরে থেকে সময় কাটান। ফোনে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এই যখন অবস্থা তখন এক শ্রেণির মানুষ করোনার ঝঁকির মধ্যেই প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন।
বাস-ট্রেন-হোটেলের দেয়ালে দেখা যায় ‘ব্যবহারে বংশের পরিচয়’। প্রবাদটির যথার্থতা করোনাকালে যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। করোনা সংক্রমন ঠেকাতে মিডিয়াকর্মীদের বড় অংশ ঘরে বসেই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তারপরও পেশাগত কারণে প্রায়ই বাইরে বের হলে দেখা যায় রাস্তায়, কাঁচাবাজার, ত্রাণ বিতরণের লাইনে একই শ্রেণির মানুষ। কাঁচাবাজারে প্রতিদিন কেনাকাটা করছেন, ভিড় করছেন ওই শ্রেণির মানুষ। তারা ছোট্টখাট পণ্য ক্রয়ের জন্যই দিনে একধিকবার বাজারে যাচ্ছেন লকডাউন ভেঙে। রাস্তায় রিকশায় ঘুরছেন, ভ্যান-অটো-সিএনজিতে এখান-সেখানে যাচ্ছেন ওই একই শ্রেণির মানুষ।
রাস্তায় পুলিশ জিজ্ঞাস করলে কেউ আমতা আমতা করেন, কেউবা হাজারো প্রয়োজনের ফিরিস্তি দেন। ঢাকা শহরের প্রতিটি ত্রাণ কার্যত টিভির ক্যামেরা নির্ভর। সেখানে তাকালে দেখা যায় একই মুখগুলো ত্রাণের জন্য বার বার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এক যায়গায় ত্রাণ নিয়ে অদূরে অন্য যায়গায় গিয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। ত্রাণের জন্য রাস্তার ফুটপাথে বসে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন; আবার মার্কেট-দোকানে এবং কোথাও কাউকে দেখলেই সাহার্য্যরে জন্য হাত পাতছেন; এই মুখগুলো কার্যত অভিন্ন। একই মানুষ বিভিন্নভাবে রাস্তায় নামছেন, সামাজিক দূরত্ব ভেঙে জাতিকে করোনা ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন।
বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করছেন শপিংমল ও বিপতিবিতান খোলা হলে করোনার সামাজক ট্রান্সমিশন ব্যপকভাবে বেড়ে যাবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা যেমন দূরহ তেমনি একই কাপড় কয়েকজন ক্রেতা উল্টে পাল্টে দেখবেন। তাদের বক্তব্য বেঁচে থাকলে জীবনে অনেক ঈদ আসবে। জীবনই যদি না থাকে তাহলে টাকা দিয়ে কি হবে। দোকান খুললে কোনোভাবেই ক্রেতাদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এতে দোকান মালিক, কর্মচারী, ক্রেতা সকলেই মধ্যে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়বে।
১০ মে শপিংমল ও মার্কেট খোলার ব্যাখ্যা দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতির চিঠি পেয়েই ১০ মে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে এক টেলিভিশনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন বলেছেন, বাণিজ্য সচিবের চিঠি পাওয়ার পর মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যারা মার্কেট খোলা রাখতে পারবেন তারা খুলবেন। সরকারের ভিতরের কিছু ব্যাক্তির ঈদের আগে শপিংমল ও বিপনি বিতান খুলে দেয়ার তাগাদার রহস্য কি?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে ঈদের বাজারে ভারতীয় কাপড় বিক্রি করার তাগাদা থেকে ঝুঁকি নিয়েই মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবার করোনার কারণে চীন থেকে কোনো কাপড় বাংলাদেশে আসেনি। ঈদের মার্কেট ধরতে ভারত থেকে বিপুল পরিমান কাপড় বৈধ-অবৈধ পথে এসেছে। সে কাপড় বিক্রির তাগাদা থেকেই মার্কেট খুলে দেয়ার আগ্রহ।
ভারতীয় পণ্যের বাজার ধরতে এদেশের কারো কারো কাছে যেন মানুষের জীবনের মূল্য গৌণ হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের থাবায় গোটা বিশ্ব যখন পর্যুদস্ত তখনো ভারতীয় কাপড় বিক্রি করতে বাংলাদেশের কিছু মানুষ অস্থির। ভারতের স্বার্থ রক্ষার কাছে এদেশের মানুষের করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি যেন কিছুই নয়। তবে ব্যবসায়ীদের বড় একটা অংশ করোনাকালে ঘরে বসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ৭ মে ইনকিলাবে ‘অর্ধেক মার্কেট খুলছে না’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন পড়ে মন্তব্যের ঘরে আসাদুল্লাহ আসাদ লিখেছেন ‘করোনায় আপনি যদি মারা যান তাহলে সরকারের তালিকায় একটি সংখ্যা যোগ হবে মাত্র। এর বেশি কিছুনা। কিন্তু আপনার ফ্যামিলির কাছে আপনি একটি পৃথিবী। আপনার মৃত্যু তাদের দুনিয়াকে বিষন্ন করে তুলবে। তাই লক ডাউন শিথিল হলেও সাবধানে চলাফেরা করুন। সতর্ক থাকুন’।



 

Show all comments
  • Ramzan Ali ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
    বাঙালী সীমিত বলতে কিছু বুঝে না। যেমনটি মানেনি পুরোপুরি লকডাউন। যেই ঈদের কারণে মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্তে সেই ঈদে করোনা হয়ত এমন ভাবে সংক্রমিত হবে ঈদের সময় মানুষকে হাসপাতাল, ডাক্তার, কবর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। সংক্রমিত বেশি হবে না সেই নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারবে না। বরং মার্কেট বন্ধ থাকলে মানুষ ঈদের বাজারে যে অপচয় আর বিলাসিতা করে সেই টাকাটা যাকাতের পাশাপাশি গরীব অসহায় মানুষদের সহায়তা প্রদানে উৎসাহিত করা যেত।
    Total Reply(0) Reply
  • Ibrahim Khalil ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    লকডাউনের মুল উদ্দেশ্য হলো আক্রান্ত রোগীদের পরিক্ষা করে আলাদা করা,আক্রান্ত অনুপাতে টেস্ট না হলে সারা বছর লগডাউন রেখেও কাজ হবেনা। রোগী থেকেই যাবে!
    Total Reply(0) Reply
  • Mahbubur Rahman Badal ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    সরকারি অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খোলা উচিত। দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষজন কোন প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে পারছে না। বিভিন্ন লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে খাজনার রশিদ, খারিজ সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। তাই মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লোন নিতে পারছে না। তাছাড়া জমি রেজিস্ট্রির মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য অনেক কাজ করা যাচ্ছে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmudul Hasan ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    সরকার এ সুবাদে কিছুটা জনসংখ্যা কমিয়ে নিতে চাচ্ছে ! মরবেতো মধ্যবিত্ত আর গরীব মানুষ গুলো বড়লোকেরা যেভাবেই হোক চিকিৎসা করিয়ে নিবে! আর সরকার চায় বাংলাদেশ দারিদ্র মুক্ত হোক! তো এটাতো একধরনের সুবর্ণ সুযোগ বলাই যায়! এভাবে লকডাউন শিথিল করে সত্যিই জাতিকে একটা বিপর্যয়ে ফেলবে!
    Total Reply(0) Reply
  • Al Forkan ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    যতই সবাই সাবধানে সীমিত আকারে শপিং কর‍তে যাক, সেখানে সবাই জামা কাপড় ট্রায়েল দিবে,কাপড় মাখামাখি করে পছন্দ না হলে রেখে আসবে, আবার পরবর্তীতে অন্য কেউ এক ই কাপড় ট্রায়েল দিবে.. এর মধ্যে কেউ সংক্রমিত থাকলে তো... যাই হোক আমি এই পদক্ষেপ একদম ই নিরাপদ মনে করছিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Hasan ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    মার্কেটে যাইতে কেউ বাধ্য করে নাই। বাজারে যান,মসজিদে যান,প্রয়োজনে মার্কেটেও যাবেন- তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাবেন। ত্রাণ আর প্রণোদনার আওতার বাইরের লক্ষ মানুষের অস্তিত্বের প্রশ্ন মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক। আপনার ক্ষেত্রে আপনি সিদ্ধান্ত নিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Najmul Hasan Naju ৯ মে, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুই করার নেই। যে এত করোনা সহসাই দূর হচ্ছে না বিশ্ব থেকে, তাই মানুষ ঘরে বসে থাকতে পারে না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগকে আমি শতভাগ সমর্থন জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৯ মে, ২০২০, ২:৩১ এএম says : 0
    মানুষের জীবন অত্যন্ত মুল্যবান। মানুষের টাকা পয়সার একান্ত দরকার আছে। মানুষ ঘরে বসে থাকলে চলবে না। তাই আসুন আমরা চিন্তা করি ঘরে বাইরে আমরা কি ভাবে সুস্থ থাকিতে পারি। আমি বার বার বলে আসছি যে সুস্থ থাকার একমাত্র উপায় ইসলাম। সবাই ওজুর সহিত থাকেন, দাঁড়ি, রাখেন, মাথায় টুপি দেন, আল্লাহ তা'আলার জিকিরে মত্ত থাকেন। নাকের ব্যায়াম করেন। এবং একশতবার পড়েন দৈনিক, লাহাওলাউয়ালা ক্বোয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইল আযীম। ইনশাআল্লাহ। রুগ মুক্ত থাকিতে পারিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৯ মে, ২০২০, ৭:৪০ এএম says : 0
    স্টালিন সরকারের লিখা এই প্রতিবেদনটা খুবই চমকপ্রদ এক প্রতিবেদন। আমার বিশ্বাস তাঁর এই লিখা খুবই সত্য। তিনি অবশ্যই বাস্তুনিষ্ট খবর এখানে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে যেটা সেটা হচ্ছে, “ভারতীয় কাপড় বিক্রি করতে বাংলাদেশের কিছু মানুষ অস্থির”। আমি জানি এটা অতি বাস্তব কথা বিশ্বাস অবশ্যই করতে হয় কারন সাধারন জ্ঞানেই বলে যারা মজুদ করেছেন এই করোনা পরিস্থিতিতে তারা পাশের দেশ থেকেই মজুদ করতে পেরেছেন। অন্য কোন দেশ থেকে ঈদের মার্কেট ধরতে কোন কাপড় আসেনি কারন সেসব দেশ থেকে আসতে হলে বিমান কিংবা জাহাজের প্রয়োজন। আর ভারত থেকে আনার জন্যে মানুষের মাথায় করে বা ভ্যান গাড়ী যথেষ্ট। কাজেই এই লকডাউনের সময় অন্যান্য দেশের সাথে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সেইসব দেশ থেকে মালামাল আসতেই পারেনা। এই প্রতিবেদনটা পড়ার পর সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ হওয়া উচিৎ কারন যখন দেশ লকডাউন তখন কিভাবে বর্ডার দিয়ে তাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে মাল দেশে প্রবেশ করলো। কিভাবে ভারতীয় মালা মাল দেশে প্রবেশ করে এটা একটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বড় ধরনের প্রশ্ন নয় কি??? আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে (বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে) নিজের জন্মভূমির প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ