Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আইএসের পরাজয় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে জোট নেতারা : কার্টার

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার বলেছেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস)-বিরোধী এক জোটের সভায় জঙ্গি গ্রুপটির কাক্সিক্ষত পরাজয়ের পর কি পরিস্থিতি হবে এবং ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলোতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও পুননির্মাণে বিভিন্ন দেশ সম্মত কিনা তা নিয়ে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর এপি।
কার্টার আরো বলেন, ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ মসুল শহর ও সিরিয়ার রাক্কা শহর পুনর্দখলের লড়াই আসন্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে কয়েকটি দেশ যুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
ইসলামিক স্টেটের পরাজয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে আয়োজিত দু’দিনের বৈঠকে অংশ নিতে ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওয়াশিংটনে উপস্থিত হয়েছেন।
অ্যান্ড্রুজ বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে প্রথম দিনের অধিবেশন শেষে বুধবার কার্টার সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তাসমূহ চিহ্নিত করার ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।  
তিনি বলেন, মন্ত্রীরা নিশ্চিত হতে চান যে যুদ্ধোত্তর সময়ে আমাদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সামরিক প্রচেষ্টার সাথে সমন্বিত করা হবে।  
বৈঠক শুরুর পর বক্তৃতায় কার্টার ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরো বেশী কিছু করার জন্য প্রতিরক্ষা নেতাদের প্রতি আবেদন জানান। পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কি কি হবে তা নিয়েও বৈঠকে তারা আলোচনা করেন।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট তথা যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী যখন মসুল ঘিরে ফেলা ও চূড়ান্তভাবে পুনর্দখলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে  সে সময় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কার্টার আইএসবিরোধী জোটের সভা ডাকলেন।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইরাকের জন্য দাতাদেশগুলোর কাছ থেকে ২শ’ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে বুধবার পররাষ্ট্র দফতরে এক পৃথক বৈঠক আহ্বান করেন। কেরি বলেন, এটি হচ্ছে এমন এক কারণ যা আসলেই প্রত্যেকের দৃঢ় ও উদার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, এ অর্থ বাস্তুচ্যুদের জন্য মানবিক সাহায্য, মাইন অপসারণ, সম্প্রতি মুক্ত হওয়া সম্প্রদায়গুলো ও ফিরে আসা লোকজনের জন্য জরুরি সাহায্য, পাশাপাশি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পুনর্গঠন ও উন্নয়ন সাহায্যে ব্যবহৃত হবে। জাতিসংঘের হিসাব মতে বর্তমানে ১ কোটি ইরাকির সাহায্য প্রয়োজন। বছর শেষে সাহায্যপ্রার্থী ইরাকদের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়াতে পারে।
বৃহস্পতিবার কেরির আইএসবিরোধী জোটের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক যৌথ বৈঠকের আয়োজন করেছেন। এতে তারা সন্ত্রাসবিরোধী অর্থায়নসহ রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্যোগের সমন্বয়, বিদেশী যোদ্ধাদের গমন বন্ধ এবং আইএসের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত শহরগুলোর স্থিতিশীলতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
আইএসবিরোধেী জোটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি ব্রেট ম্যাকগার্ক বলেন, আমরা ইরাক ও সিরিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হচ্ছি, কিন্তু আমাদের বহু কিছু করার আছে। এ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ যা আগামী বছরগুলোতেও আমাদের সাথে থাকবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে সম্প্রতি আইএসের কাছ থেকে পুনর্দখল করা একটি বিমান ঘাঁটিকে মসুল দখলের জন্য হামলা পরিচালনাস্থলে পরিণত করতে সে ইরাকে অতিরিক্ত ৫৬০ জন সৈন্য পাঠাচ্ছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সিরিয়াতেও শক্তিবৃদ্ধি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সেখানে মানবিজ শহর দখলের জন্য প্রচ- লড়াই চলছে। মানবিজ তুরস্ক থেকে রাক্কায় সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পথের উপর অবস্থিত।  রাক্কা থেকে আইএসকে হটানো মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইএসের পরাজয় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে জোট নেতারা : কার্টার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ