চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ জনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৩।

নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে তিন মাসের শিশু, ডাক্তার, পুলিশ সদস্য এবং মৃত ব্যক্তিও আছেন

সোমবার রাতে চট্টগ্রামের তিনটি ও কক্সবাজারের একটিসহ মোট চারটি ল্যাবে পৃথক নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া গেছে।
ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৩৯ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৩১ জন, নোয়াখালীর সাত জন ও ফেনীর একজন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাবে ৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এদের সবাই চট্টগ্রাম জেলার।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে রোববার ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং এর ফল জানানো হয়েছে সোমবার। এতে মোট ২৬টি নমুনায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ জন চট্টগ্রামের, নোয়াখালীর ৭ জন এবং ফেনী জেলার বাসিন্দা একজন।

এর বাইরে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামের একজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বিআইটিআইডিতে শনাক্ত চট্টগ্রামের ৩১ জনের মধ্যে পটিয়া উপজেলায় ১১ জন, সাতকানিয়া উপজেলায় তিন জন, মহানগরীতে ১৬ জন, ফৌজদারহাটের ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন আছেন।

এদের মধ্যে পটিয়া পৌরসভায় তিন মাস ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশু আছে। নগরীর ছোটপোল এলাকায় ১২ বছরের এক শিশু আছে। নগরীর পাঁচলাইশ ও আগ্রাবাদের দুই নারী চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। নগরীর চকবাজারে ৬৫ বছর বয়সী মৃত এক পুরুষের নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চমেকে শনাক্ত ১৫ জনের মধ্যে মহানগরীর ১৩ জন, পটিয়া উপজেলা ও সীতাকুণ্ড উপজেলার একজন করে আছেন।

সিভাসুর ল্যাবে শনাক্ত চট্টগ্রাম জেলার ১৮ জনের মধ্যে সাতকানিয়া, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দুই জন করে ছয় জন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার একজন আছেন। বাকি ১১ জন চট্টগ্রাম মহানগরীর।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার একজন শনাক্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের এ পর্যন্ত ৩৩৩ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলো। এর মধ্যে মারা গেছেন ২১ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪ জন।