পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে ‘থলের বেড়াল বেরিয়ে যাওয়া’র ভয়ে সরকার ‘মামলার কৌশল’ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতি ইংগিত করে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে সব সময়ের জন্য একটা প্রশ্ন আছে। তারা একটা অনুশোচনায় ভোগেন। এটা আমার কথা নয়, ভারতের কূটনীতিক জে এন দীক্ষিতের বিঅন্ড লিবারেশন বইতেও আমি পড়েছি। তিনি বইতে বলেছেন, আমি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার কারণে তার মধ্যে একটা অনুশোচনা আছে।
সে জন্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত কথা হবে কিংবা এ বিষয়ে যত বির্তক হবে, ততই তো থলের বিড়াল বেরুতে থাকবে। সত্যের প্রতি সাংঘাতিক ভয়, আতঙ্ক আওয়ামী লীগের। এই কারণে তারা মামলা দিয়ে হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে চাচ্ছে।
সম্প্রতি জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহের জাসদের সম্মেলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি সম্পর্কে অরুচিকর মন্তব্য করেছে। এটা নতুন কথা নয়। তিনি এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন বলেই বরাবরই এই অশ্রাব্য ভাষায় মিথ্যাচার করে থাকেন। ইনুর প্রতিদিনকার বক্তব্য-বিকৃতি পড়লে মনে হয় যে, বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারার উপরেই তার মন্ত্রিত্ব নির্ভর করছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের আবির্ভাব ১৯৭২-৭৫ সালে জাসদ গণবাহিনী সৃষ্টি করেছিলো। ওই সময়ে হাসানুল হক ইনুর আচরণ ছিলো লাদেন, জাওয়াহেরি ও শায়েখ আবদুর রহমানদের সমতুল্য। এখন ইনু সাহেব তার নিহত কর্মীদের ঘাতকদের সঙ্গে ক্ষমতার ঢালে বাঁদুর ঝোলা হয়ে ঝুলতে গিয়ে শুধুমাত্র সেই সময়ে নিহত জাসদের কর্মীদের আত্মাকেই অপমান করেননি, সাথে সাথে গণতন্ত্রকে গ্রাস করে নিতে এখন প্ররোচকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ইনু।
রিজভী আহম্মেদ বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, খুব বেশিদিন নয়, অচিরেই গণতন্ত্র হত্যা, বিরোধী দল নিধন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মানুষের আদালতে যাদের বিচার হবে তাদের মধ্যে এই ইনু ও খায়রুল হকরা ওয়েন্টিং লিস্টে থাকবেন না, ফাইনাল লিস্টেই থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সানাউল্লাহ মিয়া, আব্দুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।