Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২০ মে থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার নিষেধ মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা দেয়ার দাবী

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২০, ২:৫২ পিএম

 

সাগরের মৎস্য ভান্ডার সুরক্ষায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে যাচ্ছে। একদিকে চলমান করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউন, এর উপর আরো ৬৫ দিনের মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা ভাবিয়ে তুলেছে মৎস্যজীবীদের। তাই দাবি উঠেছে মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা দেয়ার।

বঙ্গোপসাগরে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইলিশের জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সফলতাকে অনুসরণ করে মৎস্যসহ মূল্যবান প্রাণিজ সম্পদের ভান্ডারের সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি চিংড়ি, কাঁকড়া আহরণও রয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায়।

এদিকে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞার ফলে মাঝি-মাল্লারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানান মাঝি মাল্লা সমিতির সভাপতি বাদশা মাঝি।

মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে মে মাসের শেষের দিক থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে বিচরণরত মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণির প্রজননকাল। একারণেই সাগরের মৎস্যসহ বিভিন্ন মূল্যবান প্রাণিজ সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি তা বৃদ্ধিতে দীর্ঘসময় মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার।

বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি নদীর মোহনাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। যার কারনে সাগরে মাছ ধরার সকল ফিশিং ট্রলার কক্সবাজারের উপকূলে ফিরে আসতে শুরু করেছে।

এই নির্দেশ বাস্তবায়নে নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড সদস্যদের সহায়তায় মাঝ সাগরেও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে । পাশাপাশি পরিচালনা করা হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সূত্রমতে নিষেধাজ্ঞাকালে বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে যাওয়া ট্রলারগুলো জব্দ করা ছাড়াও মাঝি-মাল্লাদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

এদিকে করোনা সংকটকালীন দীর্ঘদিনের লকডাউন এবং আগামী ৬৫ দিন সাগরের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের সময় মৎস্যজীবীদের মানবিক সহযোগিতা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় মসজিদ বিষয়ক সম্পাদক কক্সবাজার রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল।

তিনি বলেন, করোনাকালীন লকডাউনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্যজীবীরা। এসময়ে তারা সাগরে মাছ আহরণ করতে পারলেও যথাযথভাবে বিপণন করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর উপর শুরু হচ্ছে দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা।

তিনি বলেন কক্সবাজার উপকূলে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মৎস্যজীবী রয়েছেন যারা মৎস্য আহরণ ও বিপণনের সাথে নানাভাবে জড়িত। এই মানুষগুলো লকডাউনে দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছেন এবং আগামীতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও তাদের দুর্ভোগ পোহাত হবে।

তাই মানবিক কারণে এই মৎস্যজীবীদের সহযোগিতা দেয়ার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ