Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধেঁয়ে আসছে ঘূর্নিঝড় ‘আমফান’, উপকূলজুড়ে আতংক

বঙ্গোপসাগর উত্তাল-নিরাপদে আসতে শুরু করেছে মাছ ধরা ট্রলার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ৩:২৯ পিএম | আপডেট : ৪:২৫ পিএম, ১৯ মে, ২০২০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দ্রুতই শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এ ঘূর্ণিঝড়টি। এর ফলে ক্রমশই কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরা ট্রলার গুলো নিরাপাদে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর সংকেত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বার বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাসহ সমুদ্র উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান’র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন, পাকা ও নিরাপদ স্থাপনা এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৬৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় একটি বহুতল ভবন ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। ২০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন এ উপজেলায় ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। ঘূর্নীঝড় আম্পান মোকাবেলায় সোমবার রাত ৯ টায় উপজেলা পরিষদের দরবার হলে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১১ ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান ও সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থনীয় অনেকেই জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সংকটে পড়েছেন সমুদ্র উপকূলীয় মানুষ। ঝড়ের আগাম বার্তা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কর্মহীন এসব মানুষ যেন অজানা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। নিরাপদ আশ্রয় কিংবা জীবন বাঁচানোর চিন্তা না করে তারা নিজেদের বসতঘর আর সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ ঝড়ে না জানি কি হয়, এমন চিন্তার তাদের চোখ-মুখে।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া দুইটায় ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিবি) সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফান পায়রা বন্দর থেকে বর্তমানে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রর ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ২২৫ থেকে ২৪৫ কিলোমিটার। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, এ এলাকার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যা ছিল তার বেশির ভাগই শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে যেসব ট্রলার সাগরে আছে তাও সন্ধ্যার মধ্যে তীরে আসবে। এছাড়া আলীপুরের আবাসিক হোটেল গুলো জেলেদের আশ্রয়ের জন্য ছেড়ে দয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপোজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো আবুল বাসার বলেন, তাদের ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখার জন্য স্ব-স্ব বিদ্যালয় প্রধানদের বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন,ঘূর্নীঝড় আমফান মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমফান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ