Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাদাখ সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন চীন-ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ৩:৪০ পিএম

সিকিমের নাকু লায় ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর মধ্যে হাতাহাতির রেশ কাটেনি এখনও। এর মধ্যেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে লাদাখ সীমান্তে। সেখানে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত-চীন উভয় দেশই। পূর্ব লাদাখের অমিমাংসিত সীমান্তের দু’প্রান্তেই বেশ কিছু সেক্টরে নতুন করে সেনা বাহিনী নিয়োগ করছে তারা। আগেও এই অঞ্চলে দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সপ্তাহ খানেক আগেই ভারত ও চিন সীমান্তে উত্তর সিকিমের নাকু লায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ওই সীমান্তে দু’পক্ষের প্রায় ১৫০ সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সূত্রের খবর, এবার লাদাখের দেমচোক, চুমার, দৌলত বেগ ওল্ডির পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকায়ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ‘আমাদের সেনা যোগ্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে গালওয়ান নদী ওপারে তাঁবু খাটানো চীনা সৈন্যদের।’ মে মাসের ৫-৬ তারিখে প্যাংগং সো সেক্টরের উত্তর তটে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষ বেধেছিল তাতে দু’পক্ষেরই বহু সৈন্য আহত হয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই লাদাখের কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখার সামনে দিয়ে উড়েছে চীনা আর্মির কপ্টার। এই খবর পেয়েই নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী।

সোমবার এই বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে অবশ্য দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষকে ‘বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল’ বলে পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) লাদাখের একটা অংশকে চীনের সীমানার ভিতরে দেখিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, লাদাখের অনেকটা অংশ ভারতের সীমানার ভিতরে নেই। চীনের আওতায় ঢুকে গিয়েছে। এই অংশটি চীনের সীমান্ত ঘেঁষা, একে আকসাই চীনও বলা হয়। এই অংশটি নিজেদের অংশ বলে দাবি করে দুই দেশই। এ কারণে ভারত আবারও চীনের প্রতি ‘হু’র পক্ষপাতের অভিযোগও এনেছে। এর আগে, ২০১৭ সালে ডোকলামে ৭০ দিন ধরে ভারত-চীন সেনার সংঘর্ষ হয়েছিল। ভুটানের এই বিতর্কিত জায়গাকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। সূত্র: টিওআই।



 

Show all comments
  • Abdur Rafi ১৯ মে, ২০২০, ৯:১৬ পিএম says : 0
    ভারত ও চিন দুই দেশ ধ্বংস কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ