Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

পঙ্গপাল পশ্চিম ভারতের ২৪টির বেশি জেলায় ও পাকিস্তানের কিছু অংশে আক্রমণ চালিয়েছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৩:১৩ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই পঙ্গপালের বিশাল এক ঝাঁক ভারত ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে । পঙ্গপালের বিশাল এ আগ্রাসী বাহিনী ব্যাপকভাবে ফসল ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তাদের আক্রমণের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট।–বিবিসি বাংলা, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকশিত রিপোর্টগুলোতে বলা হচ্ছে কৃষকদেরকে প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পঙ্গপাল মহামারির মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এবং এই মরু পঙ্গপাল বাহিনী ব্যাপকভাবে ফসল ধ্বংস করে ফেলছে, যার ফলে খাদ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। পাকিস্তানের প্রায় ৩৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে বালোচিস্তান, সিন্ধ এবং পাঞ্জাব প্রদেশ। এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি প্রতিবেদন বলছে ওই এলাকাই এই প্রজাতির পঙ্গপালের ”বংশবৃদ্ধির মূল ক্ষেত্র”।

দুই পারমাণবিক শক্তিধর বৈরি দেশের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক বছর ধরে শীতল। কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন , তার পরেও এই অভিবাসী পঙ্গপালের হামলা মোকাবেলায় ভারত ও পাকিস্তান একযোগে কাজ করছে। দ্ইু দেশের মধ্যে স্কাইপের মাধ্যমে নয়টি বৈঠক হয়েছে এপ্রিলের মাসের পর থেকে। ওই বৈঠকে আফগানিস্তান এবং ইরানের উদ্ভিদ সুরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারাও যোগ দেন বলে ভারতের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন ।

টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকার আক্রমণ , ফসল ধ্বংসের আশঙ্কা পঙ্গপাল : বাংলাদেশে ঝুঁকি কতটা ? মরু পঙ্গপাল : কিছু সাধারণ তথ্য এরা সাধারণত চুপচাপ , একা থাকতে ভালবাসে , যখন দলবদ্ধ হয় , তখন দলগতভাবে ছোটখাট দানব হয়ে ওঠে । রংবদলায় বাদামী থেকে গোলাপিতে ( অপরিণত ) আর হলুদে ( পরিণত অবস্থায় ) ঝাঁক আকারে প্যারিস বা নিউ ইয়র্কের সমান ৪০ মিলিয়ন পঙ্গপাল তিন মিলিয়ন লোকের প্রতিদিনের খাদ্য খেয়ে ফেলে । ফসলধ্বংস করে এবং জীবিকা হুমকিতে ফেলে ।

কোভিড নাইনটিন মহামারি শুরুর আগে দুই পক্ষ সীমান্তে সামনাসামনি বৈঠক করেছে। ২০১৭ - ১৮ য় পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে তারা সীমান্তে পাঁচটি বৈঠক করেছে। ” আমরা সীমান্তের ওপার থেকে বড়ধরনের পঙ্গপাল আক্রমণ ঠেকাতে লড়ছি। প্রায় তিন দশকের মধ্যে এতবড় আক্রমণ হয়নি। এই পঙ্গপালের ঝাঁক খুবই বিশাল। নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই এবার তারা বংশবিস্তার করেছে এবং সীমান্ত পার হয়ে চলে এসেছে ,” বলছেন ভারতের পঙ্গপাল সতর্কীকরণ সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টার কে এল গুর্জার ।

পঙ্গপালের ঝাঁকটা পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকেছে ৩০ শে এপ্রিল নাগাদ। তারা রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের ৫টি জেলায় এই মুহূর্তে ফসল ধ্বংস করছে। এক বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকে ৪০ মিলিয়ন ( ৪ কোটি ) পর্যন্ত পতঙ্গ। তারা ওড়ে খুব দ্রুত। কর্মকর্তারা বলছেন কখনও কখনও তারা একদিনে ৪০০ কিলোমিটার ( ২৪৮ মাইল ) পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে পারে। ” আমাদের ভাগ্য ভাল মাঠে এই মুহূর্তে কোন শস্য নেই। কিন্তু পঙ্গপালের ঝাঁক সবুজ পাতা , ডালপালা , ফল , ফুল , বীজ এবং গাছ খেয়ে নি : শেষ করে দেয় ,” জানান মি . গুর্জর। কর্মকর্তারা বলছেন ছোট্ট একটা পঙ্গপালের ঝাঁক গড়ে যে পরিমাণ খাবার একদিনে খেয়ে শেষ করতে পারে , তা প্রায় আড়াই হাজার মানুষের একদিনের খাদ্যের সমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ