Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গণপরিবহন বন্ধ রেখেই খুলছে অফিস: সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৮:৩৪ পিএম

চলমান করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ রেখেই আগামী ৩১ মে থেকে অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। তবে গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিস খোলা হলে সাধারণ কর্মজীবীরা কিভাবে অফিস করবেন?- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

বুধবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চলমান সাধারণ ছুটি ৩০ মে'র পর আর বাড়ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হবে অফিস-আদালত। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন আপাতত বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ফেইসবুকে আহমেদ নাফি লিখেছেন, ‘‘গণপরিবহন যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমরা অফিসে কিভাবে যাবো? আমি মিরপুর থেকে সাভারে অফিস করি। এই রকম হাজার হাজার লোক ঢাকায় যাতায়াত করবে। এইটার ব্যবস্থা তাহলে কি হবে? কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়া এই রকম সিদ্ধান্ত সরকার সরকার বারবার নিচ্ছে।’’

আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘‘গণপরিবহন বন্ধ কিন্তু অফিস খোলা। সবার হাতে টাকা পয়সা নাই। কিভাবে নিয়মিত রিক্সায় বা সিএনজিতে চলাচল করবে? অনেকের অফিসই অনেক দূরে যেমন আমার অফিস ২৫ কিমি দূরে আমার বাসা থেকে।’’

সাঞ্জিদা শারমিন লিখেছেন, ‘‘লকডাউন নামের তামাশায় অনেকেই আজ নিঃস্ব। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের দেশের মানুষের লকডাউন মানায় না। না খেয়ে মরার চেয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। পরিবহন শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চালু করা হোক।’’

জয়নাল আবেদীন লিখেছেন, ‘‘গণপরিবহনসহ সবকিছুকে সাধারণ জীবন যাপনের মধ্যে নিয়ে আসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অযথা আতংকিত না হয়ে নিজস্ব সেফটি নিয়ে সবাই সাধারণ জীবন যাপন করা উচিৎ! অনেক বিশেষজ্ঞের মতে করোনার সংক্রমণের সমাধান হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে! তাই মিসগাইডলাইন লকডাউন উঠিয়ে সাধারণ জীবন যাপন করা উচিৎ।’’

গাজী মোহাম্মাদ ইব্রাহিম লিখেছেন, ‘‘এই যেন আজব দেশে আমাদের বসবাস। যে মূহুর্তে জনগণকে ঘরে থাকা বাধ্য করা উচিত, তখন সরকার তাদেরকে ঘরের বাইরে ডেকে এনে শরীরে কোভিডের বংশ বিস্তারের জন্য। জনগনকে ঈদের ছুটিতে যেইভাবে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ করে দিলো, এইবার ফিরে আসুক। তারপর হারে হারে ঠের পাবে মৃত্যুর মিছিল কোথায় গিয়ে থামে।’’

খোরশেদ আলম লিখেছেন, ‘‘সঠিক সিদ্ধান্ত কারণ লকডাউন নাম মাত্র ছিল দেশের মানুষ বাহিরে ছিল লকডাউনের ভিতর? নিজেদের ভালোমন্দের দায়িত্ব নিজেরা নিতে হবে! আমাদের সচেতনতা আমাদের ভিতর না থাকলে সরকার বাচাঁতে পারবে না। আমার পরিবার, সমাজ, দেশ রক্ষার দায়িত্ব ও আমার সচেতনতার উপর নির্ভর করে।’’

সুমাইয়া লিখেছেন, ‘‘গণপরিবহন ছাড়া যাতায়াত কি করে হবে, কয়জন মানুষের নিজস্ব পরিবহন আছি? গণপরিবহন ছাড়া যে বাড়তি টাকা যাতায়াত এ খরচ হবে তা দিবে কে?সব বুদ্ধিমান মানুষ প্রথমেই সব সিদ্ধান্ত গুলো এমন ভাবে নেয় যেন গরীব আর মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য লুকায়িত শাস্তি।’’

ফারুক আহাম্মেদ লিখেছেন, ‘‘১০/১৫ দিন কারফিউ দেয়া উচিৎ ছিল তাহলে ঈদের সময় যে সংক্রমণ হয়েছিল সেটা অন্তত কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যেত। এখন সবাইকে ভাগ্যর উপর ছেড়ে দেওয়া হল।’’



 

Show all comments
  • মাকছুদুর রহমান ২৮ মে, ২০২০, ১২:০৯ এএম says : 0
    সীমীত আকারে অফিস খোলা হচ্ছে। সীমীত বিষয়টা পরিস্কার করা দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ