Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বৃষ্টি ও জোয়ার পানিতে তলিয়ে গেছে পাকা ধান মির্জাপুরে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ম্লান

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ৯:০৮ পিএম | আপডেট : ৯:১১ পিএম, ৩০ মে, ২০২০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একদিকে করোনার প্রভাব অন্যদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কৃষকের পাকা ধান তলিয়ে গেছে। দুল খাওয়া সোনালী ধানের শীষ বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়ায় তাদের সোনালী স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে।
উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ৭৫ হেক্টর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ মির্জাপুর অফিস সূত্র জানান, উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২০ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া, বৈন্যাতলী, গোবিন্দপুর ও সুতানরী গ্রামের কৃষকরা প্রায় ৩ হাজার ১শ একর জমিতে বোরো আবাদ করে। এরমধ্যে উঁচু এলাকার প্রায় এক হাজার একর জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন তারা। কিন্ত গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সাড়ে ৫শ একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। চড়া মজুরি দিয়েও পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া না যাওয়ায় তাদের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে বলে কৃষক জানান। এক দিকে করোনার প্রভাব অন্য দিকে পাকা ধান তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তাই পড়েছেন কৃষক।
শনিবার সকালে ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া, বৈন্যাতলী, গোবিন্দপুর ও সুতানরি এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত কৃষকের কষ্টের ফসল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষক নানাভাবে চেষ্টা করছেন। অনেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে নৌকা যোগে এসেছেন ধান কাটাতে। এছাড়াও উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বুধিরপাড়া, মন্দিরাপাড়া এবং ভাওড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামেও টানা বৃষ্টিতে পাকা আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
থলপাড়া গ্রামের কৃষক ইসরাইল হোসেন জানান, প্রতি শতাংশ জমি চাষ করতে তাদের প্রায় ৩শ থেকে চারশ টাকা খরচ হয়েছে। বাড়িতে থাকা সকলেই পানিতে নেমেছেন ধান কাটতে। কিন্তু এতে পুরো জমির ধান কাটা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, ফতেপুর ইউনিয়নের ওই চার গ্রামে ৫৩ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্ভব হলে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ২২ হেক্টর জমির পুরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ