Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুইশ গার্মেন্টেস কর্মী করোনায় আক্রান্ত

এক কর্মীর লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল নদীতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

সামাজিক দূরত্ব না মানায় দেশের তৈরি পোশাক খাত তথা গার্মেন্টসের ৯০টি কারখানায় প্রায় দুইশ শ্রমিক (১৯১ জন) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বিজিএমইএর ১০৫ জন, বিকেএমইএ’র ৫৭ জন, ইপিজেডগুলোতে ১৪ জন ও অন্যান্য পোশাক কারখানায় ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শিল্প পুলিশ ও পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে পোশাক মালিকদের বড় সংগঠন বিজিএমইএ’র উদ্যোগে পোশাক কারখানাগুলোয় করোনা আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা দিতে কাজ করছে কয়েকটি টিম। তাদের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী গত ২৮ এপ্রিল দেশের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে প্রথম একজনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএ সদস্যভ‚ক্ত পোশাক কারখানায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। বাকি ৮৪ জনের এখনো কোভিড-১৯ পজেটিভ রয়েছেন।

শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, দেশের ৯০টি কারখানার ১৯১ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বিজিএমইএ সদস্যভ‚ক্ত কারখানার সংখ্যা ৪৬টি। এসব কারখানার ১০৫ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত। অন্যদিকে বিকেএমইএ’র সদস্য ২১টি কারখানায় ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর বাইরে ইপিজেডগুলোতে অবস্থিত ১০টি কারখানার ১৪ জন ও অন্যান্য ১২টি পোশাক কারখানার ১৩ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া বিটিএমএ সদস্য একটি টেক্সটাইল মিলসে দু’জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। শিল্প পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সারাদেশের পোশাক কারখানার মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় সবচেয়ে বেশি শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। আশুলিয়ার ২৬টি কারখানার ৬১ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২৩টি কারখানার ৬০ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামে ১৪টি পোশাক কারখানার ১৭ জন শ্রমিক, ময়মনসিংহে তিনটি কারখানার চার জন শ্রমিক এবং খুলনায় একটি কারখানার একজন শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গার্মেন্টস কারখানাগুলোর শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা এমনিতেই করা হয় না। কেউ আক্রান্ত হলে বা সম্ভাব্য আক্রান্ত এমন শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা করা হয়।

এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত গার্মেন্টস কর্মী মাহমুদা বেগম মৌসুমির (২১) লাশ দাফনে বাধা দেয়া হয় লালমনির হাটে। মৌসুমি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় অসুস্থবোধ করলে গত ২১ মে বিকালে পরিচিত এক ট্রাকচালকের ট্রাকে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাতেই পথে ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে তার মৃত্যু হয়। অ্যাম্বুলেন্সে এলাকায় নেয়ার চেষ্টা হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওই লাশ এলাকায় এনে দাফনে বাধা দেয়। পরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্স চালক। লাশ ভাসিয়ে দেয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন লাশ উদ্ধার করে কবরস্থানে দাফন করেছে।



 

Show all comments
  • Md Kamrul ৩১ মে, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
    ঘটনা সত্য পোশাক কারখানা চালু করার পর করোনা মহামারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Al Hasem ৩১ মে, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
    গার্মেন্টস কারখানা খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা সম্ভব নয়, গার্মেন্টস মালিকরা কেবল তাদের বেনিফিটের জন্য পোশাক কারখানা খোলার চেষ্টা করসেন কারন তারা লাভ সারা কিছু বুজে না শ্রমিক এর মৃতুতে তাদের কোন মাথা বেথা নাই, আমি গার্মেন্টসে ৮ বছর কাজ করায় সুবাদে বলসি গার্মেন্টসে সামাজিক দূরত্ব বজাই রাখা কোন ভাবে সম্ভব নয়,আমাদের গার্মেন্টস মালিক গুলো আমদের জনগনকে বোকা বানাচ্ছে,তাই সবাইকে এই দিকে খেয়াল রাখার জন্য আনুরোদ করসি, গার্মেন্টস খোলা কারনে আমরা গাজীপুরবাসি যে কি বিপদে পরব তা আল্লাহ্‌ ছারা কেও বলতে পারেবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Hm Rashed Ahamed Saudirab ৩১ মে, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারের সরকার নির্দেশ কেন দিল গার্মেন্টস খোলার কোন গার্মেন্টস শ্রমিকরা কি তারা মানুষ না একটা দুইটা মাস কেন লকডাউন এর ভিতর রাখতে পারলো না বাংলাদেশ 5 হাজার কোটি টাকা গার্মেন্টস মালিকদের কেন দিল
    Total Reply(0) Reply
  • Mohamed Badsha ৩১ মে, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    চিন্তার কোনো কারন নাই বাংলাদেশও ইতালি হবে শুধু ওয়েট করেন
    Total Reply(0) Reply
  • Md Akhtar Hosen ৩১ মে, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    লও ঠেলা গার্মেন্টস মালিকদের করোনা রুগীর সাথে রাখা হোক গরীবের শ্রমিকের জিবনেরও মুল‍্য আছে
    Total Reply(0) Reply
  • মো হাবিব ৩১ মে, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    গার্মেন্টসে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা এতটাই অসম্ভব যতটা অসম্ভব আসমান এবং জমিন একসাথে করা যারা বলে গার্মেন্টসে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে তারা মূলত বাটপার ধোকাবাজ
    Total Reply(0) Reply
  • Moniruzzaman ৩১ মে, ২০২০, ২:৫৯ এএম says : 0
    Why everyone blaming Fty owner ? Can you please advise what is the solution ? How can we survive ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ