Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শ্রীনগরে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ডুকে ছাত্রীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২০, ৯:২৫ পিএম

শ্রীনগরে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ডুকে ছাত্রীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ ঘটনা অভিযোগ উঠেছে। এক স্কুল ছাত্রীর (১৬) ধর্ষণের চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল করে দিয়েছে ধর্ষক শান্ত (২৪)। ধর্ষক শান্ত উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি হাজী বাড়ির হাসেম খলিফার ছেলে। ফেসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পরে ওই ছাত্রীর পরিবার জানতে পারে। পরে মেয়েটি ঘটনার বিষয়টি পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বললে। এতে শান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রায় ১৬/২০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে শান্ত ও তার লোকজন চাইনিজ কুরাল ও লাঠিশোঠা ফেলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অটো চালক সোমবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক শান্ত এলাকায় কোনও কাজকর্ম করেনা। সে এলাকায় মাদক সেবী ও বখাটে হিসেবেই পরিচিত। এই অপকর্মের ঘটনা জানাজানি হলে রোববার সন্ধ্যায় শান্তর ও তার বড় ভাই মাসুদ (৩০) নেতৃত্বে সহযোগি সেলামতি এলাকার আজিম (২৭), আবু বখর (২৮), ইয়ামিন (২৫), আক্তার (২২), সালাউদ্দিন (৩০), ওমর ফারুক (২২), লিটন (৩০), নাজিম (২২), রায়হান (২০), রিফাত (২৮), ইমরান (১৮), মহিন (২০), স্বাধীন (৩০), সাগর (২৪), মিরাজ (১৯), শরীফ (২২) সহ প্রায় ২৫/৩০ জনের একটি দল ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। পরে শ্রীনগর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে এলে গ্রুপটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ধর্ষণের স্বীকার ওই ছাত্রী স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল জানায় স্থানীয়রা। ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে শোবার স্থানে আংশিক মোশারি টানানো অবস্থায় ছাত্রীর হাত পেছন থেকে বাঁধা। এসময় ওই ছাত্রী বার বার ধর্ষকের কাছ থেকে নিজের ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০/১২ দিন আগে রাতে শান্ত জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ করে ও ধষর্ণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। এ বিষয়ে মুখ খুললে তাকে ও তার বাবা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কয়েকদিন পরে ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শান্ত বারা বার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। হঠাৎ করে গত ৪/৫ দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধষর্ণের চিত্র ছড়িয়ে পরলে তারা জানতে পারে। এঘটনায় ধর্ষক শান্তর সাথে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাকিম খানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ধর্ষণের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে শান্ত চরম অন্যায় করেছে। ভোক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
এব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১ জুন, ২০২০, ১১:২০ পিএম says : 0
    ভিক্টিম ঘটনাটা তার অভিভাবকদেরকে জানায়নি তার ছবি ভাইরাল হবার ভয়ে। আবার ধর্ষক ধারণকৃত ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। ভিক্টিম হয়ত কুপ্রস্তাবে রাজী হচ্ছিলনা তাই ছবিটি ভাইরাল হয়। এখন যেহেতু পুর বিষয়টা জানাজানি হয়ে পরিষ্কার হয়েছে এবং ছবিটাই এখন বড় প্রমাণ, সেহেতু আসামীকে কোন উকিলের পক্ষে বাচানো সম্ভব নয় এটাই বুঝা যাচ্ছে। তারপরও উকিলদের আবার কুবুদ্ধির শেষ নেই তারা তাদের পকেট মোটা করার জন্যে মিথ্যা যুক্তির মাধ্যমে আইনের ফাঁক বেড় করেই ফেলে। আমাদের দেশের অসৎ উকিলদের কারনে সমাজে এধরনের অপকর্ম চালু রয়েছে। প্রবাসে উকিলেরা অসৎ বুদ্ধি ব্যয় করে আইনকে ধোকা দেয়না তাই এখানে মামলার সংখ্যা অনেক কম। যদিও কিছু মামলা হয় দেখা যায় সেসব মামলা বেশীর ভাগই আপোষ হয় নয়ত সত্যের জয় হয় এটাই আমি আমার সাংবাদিক জীবনে যখন অটোয়া আদালতে সংবাদ সংগ্রহ করতাম তখন দেখেছি। আমাদের দেশের আইনজীবীরা যেদিন প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করবে সেদিন অবশ্যই আমাদের দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই প্রবাসীদের বিশ্বাস। বর্তমানে এই মামলাটা পুলিশের হাতে তারা চাইলেও এর একটা বিহিত হয়। যেমন ধর্ষক ২৫/৩০ জনের দল নিয়ে ভিক্টিমের বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। এরউপর পুলিশ এখন প্রতিকার নিতে পারে ধর্ষককে গ্রেফতার করে এবং বাকীদেরকে গ্রফতার করার চেষ্টা সেসময়ে বন্দুক যুদ্ধে ধর্ষকের মৃত্যু এটাও হতে পারে। মুদ্যাকথা হচ্ছে এসব কুকর্মের হোতাদের পৃথিবী থেকে বিদায় দিতে পারাটাই হবে সমাজের জন্যে শিক্ষার ও সংশোধনের প্রথা। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানা, বুঝার ও সেইভাবে চলার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ