Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অতীতে মুসলমানরা দেশ দখল করেনি, মানুষের মন জয় করেছে : এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২০, ৯:৫৮ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের সব মসজিদ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি মসজিদও অবশিষ্ট নেই।এরদোগান বলেন, অথচ অতীতে মুসলমানেরা কখনোই দেশ দখল করার চেষ্টা করেনি বরং মুসলমানেরা মানুষের মন জয় করেছে। - পার্সটুডে

তিনি বলেন, এক শতাব্দী আগে আমরা যেসব মসজিদ ও স্থাপনা রেখে এসেছিলাম, সেগুলোকে অল্প সময়ের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুলে একটি হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় রোববার রাতে এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলের আয়াসোফিয়া মসজিদে কোরআন পাঠের সমালোচনা করে গ্রিস সরকার বক্তব্য দেওয়ার পর এরদোগান এসব কথা বললেন।

এরদোগান গ্রিকদের মনে করিয়ে দেন , তারা মুসলমানদের মসজিদগুলোকে কীভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল , কিন্তু মুসলমানেরা তা করেনি। খ্রিস্টিয় চতুর্থ শতকে খ্রিস্টান সম্রাট দ্বিতীয় কনস্টান্টিন প্রথম আয়াসোফিয়া মসজিদের স্থাপনাটি নির্মাণ করেন। ৩৬০ খ্রিস্টাব্দের ১ ‌ ৫ ফেব্রুয়ারি ‘ হাজিয়া সোফিয়া ’ গির্জা নামে এই স্থাপনা খ্রিস্টানদের উপাসনার জন্য খুলে দেয়া হয়। ৪০৪ খ্রিস্টাব্দে কনস্টান্টিনোপলে সৃষ্ট দাঙ্গায় এই গির্জার একাংশ ভস্মীভূত হয়। পরবর্তীতে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে এটিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় এক হাজার বছর এটি খ্রিস্টানদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৎকালীন বাইজান্টাইন সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে কনস্টান্টিনোপলের নিয়ন্ত্রণ নেন দ্বিতীয় মুহাম্মাদ খ্যাত ওসমানীয় শাসক সুলতান মোহাম্মাদ ফাতেহ। তিনি কনস্টান্টিনোপলের নাম পরিবর্তন করে ইস্তাম্বুল রাখেন এবং ‘ হাজিয়া সোফিয়া ’ গির্জাকে ‘ আয়া সোফিয়া ’ মসজিদে রূপান্তর করেন ।

১৯৩৫ সালে তৎকালীন তুর্কি প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্ক মসজিদটিকে যাদুঘরে রূপান্তর করেন। এরপর থেকে এখানে নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ ছিল। ২০০৬ সালে তুর্কি সরকার মুসলমানদের নামাজ আদায় এবং খ্রিস্টানদের উপাসনার জন্য যাদুঘরের একটি অংশ বরাদ্দ দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।



 

Show all comments
  • জোহেব শাহরিয়ার ২ জুন, ২০২০, ১২:০০ পিএম says : 0
    ক্রুসেডার গ্রিস যা করেছে, আমরা যদি এক এক হাজারভাগের একভাগও করতাম, তবে আজ তুরষ্কের মাটি থেকে খ্রিষ্টানদের সব নাম নিশান মুছে যেতো। এখন দেখছি তা না করাটাই ভুল হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad masum kabir ৭ জুলাই, ২০২০, ৭:৫৭ এএম says : 0
    Yes we should do that .our past muslim leaders were good they used to follow Islamic rules and regulations. That is the mistake they did and we are suffering. They should destroy everything that would be right thing for this pig's
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরদোগান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ