Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারে মৃত্যুর আশঙ্কা : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২০, ৩:৪৬ পিএম | আপডেট : ৩:৪৬ পিএম, ২ জুন, ২০২০

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। এর ফলে চলমান এই সংকটে ও পরবর্তীতে অধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
গতকাল সোমবার সংস্থাটি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সতর্ক করে বলেছে, কভিড-১৯ মহামারীতে অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারের ফলে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। পরিশেষে এর ফলে সংকট চলাকালে ও এরপরে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা অনুজীব-বিরোধী প্রতিরোধ্যতা হচ্ছে শরীরে কোনো অনুজীবের নির্মূলে প্রয়োগকৃত নির্দিষ্ট ওষুধের বিপক্ষে লড়াই করে ওই অনুজীবের টিকে থাকার বা প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করা, যদিও আগে ওই নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমেই সেই অনুজীবটিকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক যখন বেশিহারে প্রয়োগ করা হয় তখনই ঘটে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কভিড-১৯ মহামারীতে এই আশঙ্কাই করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহানোম গেব্রেইসাস সোমবারের ব্রিফিংয়ে বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে যেসব ওষুধ দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনজনিত রোগের চিকিৎসা করা হতো এখন সেসব ওষুধের বিরুদ্ধে ওই ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধক্ষমতা ‘উদ্বেগজনভাবে’ বাড়ছে।
জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীতে অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহার সংকট আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারী অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে, যা পরিশেষে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেবে এবং এটিই মহামারীর সময় ও এরপর অধিক রোগ ও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবে।’
সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়েছে, গুরুতর নয় এমন কভিড-১৯ রোগী কিংবা মাঝারি ধরনের অসুস্থতা নিয়ে আসা রোগীদের যেন তারা অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি না দেন, দিলেও যেন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ব্যাপারটি তারা নিশ্চিত হয়ে নেন।
খুব কম রোগীর ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের দরকার পরে। কাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যাবে এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকার ক্ষমতাকে প্রতিরোধ করা বর্তমান সময়ের অন্যতম জরুরি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদ্রোস আধানম ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ