করোনায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৬৫৬ জন, মৃত্যু ৮ জনের

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আট
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছেই। এতে করে চাপ বেড়েছে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসায়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা টেস্টের জন্য এখন লম্বা সিরিয়াল। হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও তাই। এমতবস্থায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য পৃথক হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রশাসন) আমিরুল ইসলাম খান জানান, এ ব্যাপারে কিউর এ্যান্ড স্মাইল ফাউন্ডেশনের সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারের সাথে এলজিইডির প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। এখন চলছে শর্তাবলী ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা। শিগগিরি আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হবে। চুক্তিপত্র হয়ে গেলে ওই হাসপাতালে এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা করোনা টেস্ট, অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও চিকিৎসার সেবার সুযোগ পাবেন। আগারগাঁও এলজিইডি ভবনের কাছেই বিজয় সরণীতে অবস্থিত অত্যাধুনিক সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার। আগামী ১৫ জুন থেকে এ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে এখন থেকেই এখানে করোনা টেস্ট ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম খান জানান, হাসপাতালটিতে করোনার চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে। থাকছে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ সুবিধাও। কর্মকর্তা-কর্মচারিরা করোনা টেস্টের জন্য খুব কাছেই অবস্থিত সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারে সহজেই যেতে পারবেন। টেস্টের জন্য সরকার নির্ধারিত ৩৫০০ টাকা এবং সাথে অতিরিক্ত আরও ৫শ’ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। নিজস্ব ল্যাব এবং পিসিআর মেশিন স্থাপন করার কারণে এ হাসপাতালে টেস্টের ফলাফল পাওয়া যাবে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই।
এলজিইডি সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার জন্য পৃথক বিশেষায়িত হাসপাতালের খোঁজ করতে বলেন প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান। এ বিষয়ে এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) ও নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রশাসন) কে ফোকাল পারসন করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এদিকে, প্রধান প্রকৌশলীর একান্ত প্রচেষ্টায় একটি নির্দ্দিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে এলজিইডির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। আলাপকালে কয়েকজন বলেছেন, এখন হাসপাতালগুলোর যে অবস্থা তাতে আল্লাহ না করুক কেউ সংক্রমিত হলে খুবই বিপদে পড়তে হতো। এখন সহজে টেস্ট বা চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ হলো। এজন্য তারা প্রধান প্রকৌশলীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।