Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৩ বছরে মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাও ফেরত নেয়নি

প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হতাশা

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়া। গত মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কভেনের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে এ দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) প্রতি অনুরোধ করেন।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে। তাদের সংখ্যা আয়ারল্যান্ডের জনগোষ্ঠীর প্রায় এক চতুর্থাংশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আইটি খাতের দক্ষ প্রায় ৬ লাখ নাগরিকের জন্য আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরণ করতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইটি খাতে দক্ষ প্রায় ৬ লাখ জনগোষ্ঠীকে আয়ারল্যান্ড সে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবে। এ সময় তিনি তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের ক্রয়াদেশ বাতিল না করার জন্য আয়ারল্যান্ডের কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে বিভিন্ন দেশের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, বিদেশি ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিলের কারণে বাংলাদেশে এ খাতে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে যাদের অধিকাংশ নারী। এ বিষয়ে বিদেশি ক্রেতাদের দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিমন কভেনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ