Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আশংকা হলো সত্যি করোনা এখন ভয়ংকর সময়ে সিলেট!

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২০, ৭:০১ পিএম

আশংকা হলো সত্য করোনা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে সিলেটে। তাই এখন ভয়ংকর সময়ে করোনা। তাও সিলেটে। ঈদের আগে সিলেট সহ সারা দেশে ‘সীমিত পরিসরে’ মার্কেট, দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেয় সরকার। এই সুযোগে হু হু করে নগরসহ সিলেটের সর্বত্রই দোকান-মার্কেটে প্রচণ্ড ভিড় করে ঈদের কেনাকাটা করেন লোকজন। এসময় মানুষের মাঝে শারীরিক দূরেত্বের কোনো বালাই ছিলো না এবং স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেনি কেউ। সেকারনেই করোনার বাজার বিস্তৃত হয়ে যায় সিলেটে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছিলেন, ঈদ পরবর্তী সিলেটের জন্য এক ‘ভয়ঙ্কর সময়’ অপেক্ষা করছে। এখন প্রতিদিনই সিলেটে প্রাণনাশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশু। রযেছেন চাকরিজীবি, চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জননেতা ও দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সিলেট’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সিলেট গত ২৮ মে ৩৯ জন, ২৯ মে ৪৫ জন, ৩০ মে ৩১ জন, ৩১ মে ৭৩ জন, ১ জুন ২১ জন, ২ জুন ৪৬, ৩ জুন ২৫ জন এবং আজ ৪ জুন পর্যন্তকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৫৩ জন । এই ৭ দিনে সিলেটে গড়ে ৪৭ জনের অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এছাড়াও গত ৭ দিনে সিলেটে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। গত ২৮ মে পর্যন্ত মৃতের এ সংখ্যা জন ১১া ছিন । তারপরে ২৯ মে ১ জন, ৩০ মে ১ জন, ১ জুন ১ জন, ২ জুন ৩ জন, ৩ জুন ১ জন এবং আজ ৪ জুন পর্যন্ত ২ জন। এ হিসেবে গড়ে প্রতিদিন একজনের অধিক মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনা সিলেটে। এমন ‘ভয়ঙ্কর সময়’ পরিস্থিতির জন্য ঈদের আগের দিনগুলোতে অসর্তসক ভিড় করে কেনাকাটা করাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ বিষয়ে আজ জানান, বিভাগে প্রথমদিকে কোভিট-১৯ ভাইরাসটি ছড়ানোর অন্যতম কারন ছিল করোনার হটস্পট ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে দলে দলে মানুষ সিলেটে প্রবেশ। ঈদের সময় এবং পরবর্তী সময়ে যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সিলেট, এর মূল কারণ ঈদের আগে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতি মার্কেট ও দোকানে নারী-পুরুষ-শিশু সবাই মিলে কেনাকাটায় শরিক হওয়া। সিলেটবাসীকে বার বার পরামর্শ এবং সতর্ক করে দিয়েছিলাম যাতে কেনাকাটা-টা সীমিত পরিসরে হয় এবং অবশ্যই অবশ্যই স্বাস্থবিধি মেনে হয়। কিন্তু কেউ এসবের তোয়াক্কা করেনি।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ