ক্যাপিটল দাঙ্গা বিশ্বব্যাপী চরমপন্থী আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি

বর্ণবাদী মতাদর্শে ঐক্যবদ্ধ চরমপন্থীরা বাস্তব এবং অনলাইন সংযোগের জন্য একটি নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যা
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকান্ডের ঘটনা নিজের অতীত ফিরিয়ে আনল ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মর্কেলের স্মৃতিতে। লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়ে ওঠার সময়ে তিনি নিজেও কীভাবে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন, তা মনে পড়ায় ফ্লয়েডের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন। ভিডিও বার্তায় মেগান বললেন, ‘কিছু না বলাটাই সবচেয়ে বড় ভুল। জর্জ ফ্লয়েডদের জীবন খুব দামি।’
১৯৯২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় চার শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ বাইক আরোহী রডনি কিং। সেই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। গোটা দেশে বর্ণবিদ্বেষী বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল। নিহত হয়েছিল ৫৯ জন।
প্রায় চার দশক আগেকার সেই লজ্জাজনক ঘটনার সময় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন মেগান নিজেও। সে কথা মনে করে তিনি বললেন, ‘আমার মনে পড়ছে কারফিউয়ের কথা। মনে পড়ছে, গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময়ে দেখেছিলাম, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আকাশ।’
তিনি বললেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছি, কিছু বলব। আজ সুযোগ পেয়ে গেলাম। ভাবতে লজ্জা লাগে, এখনও আমাদের সমাজে বর্ণবৈষম্য আছে! ১৯৯২ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে ২০২০ সালে, ভাবতে পারিনি। জর্জের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনের মূল্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।