Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লালমোহনের বেতুয়া খালে অবৈধ বের জাল বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, জনদুর্ভোগে শতশত পরিবার

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২০, ৩:৩১ পিএম

ভোলার লালমোহনের বেতুয়ার খালে (সাবেক বেতুয়া নদী) অবৈধ বিহন্দি জাল, বের জাল ও খুছি জাল বসিয়ে প্রতিবন্ধিকতার কারনে
জলাবদ্ধতা সৃষ্টি। জনদূর্ভোগে শত শত পরিবার। ভোলা জেলার এতিহ্যবাহী এ বেতুয়ার খালের রমাগঞ্জে ও ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হাফিজ উদ্দীন বাজার থেকে উত্তর দিকে আজাহার রোড ও চতলা বাজার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অবৈধ জাল দিয়ে দখল করে আছে এ খালটি। দীর্ঘদিবছর ধরে অবৈধ দখলের কারনে কিছু অসাধু সার্থন্বেশী ব্যক্তি এ খালে মাছ স্বীকার করে তাদের ক্ষমতার দাম্ভিকতায় একক সার্থ হাসিল করে যাচ্ছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর আবর্জনা মিশ্রিত পানির দুর্গন্ধকেও হার মানিয়েছে, এ বেতুয়ার পানি। দু কুলের মানুষ ও পথচারীরা নাক বন্ধ করে হাটতে হয় এখানে দিয়ে। সরেজমিনে গিয়ে যানাযায় ,, এ খাল দিয়ে এক সময় লঞ্চ, স্টিমার, বোর্ট, ট্রলার ও গহনা যাতায়াত করত, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাবসায়ীরা তাদের সকল ধরনের মালামাল এ বেতুয়া খাল (সাবেক নদী) দিয়ে আনা নেওয়া করত। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবৈধ জালের কারনে জোয়ার ভাটার পানি চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হওয়ায় ভাসমান কচুরিপানাগুলো চলাচল না করতে পারায় এখন গজিয়ে ওঠে স্থায়ীভাবে আবাদ হয়ে উঠছে বেতুয়া খালে, কিছু স্থানে কচুরিপানা মরে গিয়ে পঁচে জলাবদ্ধকৃত পানি এখন দুর্গন্ধময় হয়ে দু কুলের বসবাসরত জনসাধারণ দূর্গন্ধে বিভিন্ন রোগে সৃস্টি হচ্ছে। কচুরিপানা পচে বাড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মশা। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ আতংকে রয়েছে এমনকি বেতুয়ার খালের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, কচুরিপানা পঁচে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন রোগবালাই নিয়ে সংঙ্কিত খালের দু কুলের বসবাসরত শত শত বাসিন্দারা। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে বেতুয়ার দু' কূলের শত শত একর ফসলী জমি, ধানের বীজতলা এবং বসতি বাড়ী,বাগান, মাছের ঘের, পুকুর পানির নিচে তলিয়ে থাকে । আষাঢ় মাস হলো কৃষকের আমন ধানের বীজ বপনের পুরো সময় কিন্তু দীর্ঘ দিন যদি ভারী বর্ষন হয় তাহলে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, এবং মৎস্য চাষীদের লক্ষ লক্ষ টাকার চাষকৃত মাছের ক্ষতি হয়ে থাকে। বেতুয়ার খালের অবৈধ জালের কারনে জোয়ার -ভাঁটায় পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সূত্রে জানায়, এ বেতুয়া খালের দু কুলে হাজারো কৃষক বিভিন্ন প্রকার ধান চাষ,সবজি চাষ, রবি শষ্য সহ হরেক রকমের চাষাবাদ করে আসছে। এবং সরকার এ খালে প্রতি বছর উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকেন , কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়ে এ খালে অবৈধ জাল বসিয়ে ওই অবমুক্ত করা মাছের পোনা অবাধে নিধন করে যাচ্ছে যা সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যাহত হচ্ছে । স্থানীয় কৃষক সহ বসবাসরত শত শত পরিবারের দাবী এ খালের জোয়ার ভাটার পানি অবৈধ জাল থাকার কারনে চলাচল করতে পারেনা। স্থানীয় সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবী কর্তৃপক্ষ যেন বেতুয়া খালের সকল প্রকার অবৈধ শত শত জাল অপসারনের ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করেন।
রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বেতুুয়ার খালের অবৈধ জালের ব্যাপারে অবগত করব। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি বলেন অামি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সাথে অালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।মোঃ জহিরুল হক
৬/০৬/২০২০
ছবির ক্যাপশনঃ লালমোহনের ঐতিহ্যবাহী বেতুয়া খালে এভাবেই বসানো হয়েছে অবৈধ জাল।



 

Show all comments
  • মীঃশাহাবুদ্দিন ৬ জুন, ২০২০, ৪:২৪ পিএম says : 0
    আমরা এই অসাধুচক্র থেকে মুক্তি চাই। সন্মানিত কতৃপক্ষ,আমাদেরকে বাচান,পরিবেশ বাচান।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাল

৩ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ