Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাসাভা চাষে প্রাণ এর সাফল্য

চলতি বছর ৫৫ শতাংশ বেশি ফসল পেয়েছে চাষীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ৪:০৭ পিএম

চলতি বছর কাসাভার ভাল ফলন পেয়েছেন প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ চাষীরা। এবছর কাসাভা চাষীরা গড়ে প্রতি একর জমিতে ৪ টন করে কাসাভার ফলন পেয়েছেন যা গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি। কাসাভা হচ্ছে শিকড়জাত এক ধরনের আলু যা পাহাড়ি, অনাবাদী এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে চাষ হয়। দেশে এটি শিমুল আলু নামে পরিচিত।

প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমের জন্য গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে মে পর্যন্ত কাসাভা সংগ্রহ করা হয়। এবছর ৪৭৫০ একর জমি থেকে ১৯ হাজার টন কাসাভার ফলন পেয়েছেন। গত বছর এই সময়ে ৫১৪০ একর জমি থেকে সংগ্রহ করতে পেরেছেন ১৩ হাজার ১৯১ টন কাসাভা। এছাড়া অনেক জমিতে এবার একর প্রতি সর্বোচ্চ ৯ টন কাসাভার ফলন পেয়েছেন প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ চাষীরা। উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে পারলে এদেশেও বছরে দুবার ফলন সম্ভব এবং প্রতি একর জমি থেকে ১৪-১৫ টন কাসাভা পাওয়া সম্ভব হবে। ফলন বাড়লে কৃষকরা কাসাভা চাষে কাসাভা চাষে আরো উৎসাহিত হবে।

তিনি বলেন, চলতি বছর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজার, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কুমিল্লা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় কাসাভা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কাসাভার চাষ হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলায়। এছাড়া সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে সিলেটে কাসাভার চাষ বাড়ছে। প্রাণ এর পক্ষ থেকে কৃষকদের কাছ থেকে এসব কাসাভা প্রতি টন ৭৫০০ টাকা দরে সংগ্রহ করা হয়।

মাহতাব উদ্দিন আরো বলেন, ২০১৪ সাল থেকে প্রাণ কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে কাসাভা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে আসছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যবহৃত পাহাড়ি জমির যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে। প্রাণ চাষীদেরকে কাসাভা চাষের প্রশিক্ষণ, আর্থিক প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ সহায়তা এবং স্বল্পমূল্যে বীজ দিয়ে সহায়তা করছেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে কৃষি খাতে কাসাভা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রাণ এর কাসাভা প্রক্রিয়াজাতকরণের প্লান্ট রয়েছে। যেখান প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার টন কাসাভা প্রক্রিয়াজাত করা যায়। কাসাভা থেকে উন্নত মানের স্টার্চ পাওয়া যায়। যা দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপর, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়। এছাড়া বস্ত্র ও ঔষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ