Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড চীনের দখলে? অস্বীকারও করছে না দিল্লি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২০, ১১:০৩ এএম

ভারতীয় রাজনীতিতে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে চীনা সৈন্যদের নিয়ে। সব বিরোধী পক্ষের দাবী তারা ইতোমধ্যে ভারতের ৮ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থান করছে এবং সেই ভুখণ্ড চীনের দাবি করছে। কিন্তু এতে মোদী সরকার নীরব।

চীন লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে ফেলেছে বলে এ বার সরাসরি অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। রাহুল গাঁধীর এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। আবার স্বীকারও করেনি।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, লাদাখের বিজেপি সাংসদ জাময়াঙ্গ সেরিং নামগিয়াল রাহুলকে আজ পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, কংগ্রেস জমানাতেই চীন লাদাখের অনেকটা অংশ দখল করে ফেলেছিল। কিন্তু রাহুলের দাবি, “চীনারা হেঁটে হেঁটে ঢুকে লাদাখে আমাদের ভূখণ্ড দখল করে ফেলেছে।” লক্ষণীয়, তা অসত্য বলে রবিশঙ্কর প্রসাদ বা বিজেপি সাংসদ উড়িয়ে দেননি। লাদাখে চীন ভারতীয় এলাকা দখল করে রাখেনি বলেও তারা দাবি করেননি।

ভারতীয় সেনা সূত্র বলছে, প্যাংগং লেকের চার নম্বর ফিঙ্গার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পর্যন্ত গোটা এলাকা চীন মে মাসের গোড়া থেকেই দখল করে রেখেছে এবং ওই এলাকায় ভারতীয় সেনার কোনও নজরদারিই হচ্ছে না। প্যাংগং লেকের মাঝে মাঝে পাহাড়ের কিছু অংশ আঙুলের মতো ঢুকে রয়েছে। এগুলিকে ‘ফিঙ্গার’ বলা হয়। প্রসঙ্গত, দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে বুধবারও বৈঠক হয়েছে।


৫ মে লাদাখের প্যাংগং লেক এলাকায় ভারত ও চীনের সেনার সংঘাত শুরু হয়। তার পর থেকেই দুই বাহিনী লাদাখে পরস্পরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে। শনিবার দুই সেনার কমান্ডার স্তরে বৈঠক হওয়ার পরে ভারত ও চিনের সেনা লাদাখের তিনটি জায়গা—গলওয়ান ভ্যালির ১৪ ও ১৫ নম্বর নজরদারি এলাকা, গোগরা-হট স্প্রিংস-এর ১৭ নম্বর নজরদারি এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছু হটেছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রও আজ বেজিংয়ে জানিয়েছেন, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনায় যে ঐকমত্য হয়েছে, সেই অনুযায়ী দু’পক্ষ কাজ করছে।

কিন্তু ভারতীয় সেনাকর্তারা একান্তে মানছেন, সংঘাতের যে মূল এলাকা, সেই প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চিনের সেনা প্রায় ৮ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছে। ভারত চাইছে, এপ্রিলে যে যে যেখানে ছিল, সেই স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। কিন্তু চিন এ নিয়ে আলোচনাতেই রাজি নয়। তাদের দাবি, এখন তারা যেখানে রয়েছে, সেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হোক। ভারতীয় সেনার যুক্তি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ভারতের দিক থেকে কোনও অস্পষ্টতা নেই। তা সামরিক মানচিত্রে স্পষ্ট দেখানো রয়েছে। যদিও ২০০২-সালে দু’দেশের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর বৈঠকে চীন তা ফিরিয়ে দেয়।

সূত্র : আনন্দবাজার



 

Show all comments
  • Mohammed ১১ জুন, ২০২০, ১:৪৩ পিএম says : 0
    কোই গেলু রে হাওয়া হাওয়া। (ভারতীয় সেনা)
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir khan ১১ জুন, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম says : 0
    মুদির দূর্বলতায় সীমান্তে চীন অতিরিক্ত বারাবাড়ি করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir khan ১১ জুন, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম says : 0
    মুদির দূর্বলতায় সীমান্তে চীন অতিরিক্ত বারাবাড়ি করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MohammadRabbi ১২ জুন, ২০২০, ৬:৫১ পিএম says : 0
    মোদির ...লাথি!! হা হা হা
    Total Reply(0) Reply
  • Amir Hossain. ১৯ জুন, ২০২০, ১১:০২ এএম says : 0
    It is proved that China is stronger than that of India.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ