Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গোপালগঞ্জে গৃহবধূর লাশ দাফন করলো পুলিশ

গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ২:৩৪ পিএম

গোপালগঞ্জে কিডনি রোগে মৃত্যু বরণকারী আফরোজা বেগমের (৪০) লাশ দাফন করেছে পুলিশ।ওই মহিলার মৃত্যুর পর তাকে দাফনে স্বজনরা এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়রা লাশ দাফনে বাধা দেয়।এ খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফন করে। এর মধ্য দিয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ একটি মহৎ কাজ করে দেখিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিয়ানী উপজেলার বলুগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আফরোজা বেগম বলুগ্রামের খলিরুর রহমানের মেয়ে।তার শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরায়।

কাশিয়ানী থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান জানান, আফরোজা বেগম দীর্ঘদিন কিডনী রোগে ভুগছিলেন।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরা থেকে কাশিয়ানী উপজেলার বলুগ্রামে বাবার ড়িতে আসেন এ দিন বিকেলে তিনি মারযান। করোনায় আফরোজা মারা যেতে পারে, এ আতংকে স্বজনরা কেউ তাকে দাফন করতে এগিয়ে আসেনি। এছাড়া লাশ দাফনে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। খবর পেয়ে থানার এএসআই আসাদুজ্জামামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযা শেষে বলুগ্রামের কবরস্থানে আফরোজার লাশ দাফন করেন। দাফনে ওই মহিলার স্বামী ও ভাই অংশ নেন। এ জন্য আমি এএসআই আসাদুজ্জামান ও পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। করোনা মহামারীর মধ্যে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এএসআই আসাদুজ্জামান বলেন, এটি আমাদের দায়িত্ব। তাই গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে কবর খনন করা হয়। তারপর মসজিদের ইমামকে ডেকে জানাযা পড়িয়ে লাশ দাফন করা হয়। এ কাজে পুলিশ ও পরিবারের দু’ সদস্য অংশ নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামবাসী জানান, করোনায় মারাগেছে এ আতংকে স্বজনরা লাশ দাফনে এগিয়ে আসেনি। তারপর লাশ দাফনে ও জানাযায় স্থানীযরা বাধা দেন। ফলে আফরোজার বাবারবাড়ির লোকজন বিপাকে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই পরিবারের দু’ সদস্যের সহযোগিতায় লাশ দাফন করেন। তারা না এলে লাশ পড়ে থাকত বলে তিনি জানান। পুলিশের এ কাজকে তিনি সাধুবাদ জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ দাফন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ