Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বর্ষার জোর থাকবে বেশি অতিবৃষ্টিতে বন্যার শঙ্কা

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

পঞ্জিকার হিসাবে বর্ষা ঋতু শুরু হচ্ছে আগামীকাল (সোমবার) পয়লা আষাঢ় দিয়ে। তবে এবার বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগাম জেঁকে বসেছে। টেকনাফ-চট্টগ্রাম হয়ে এক সপ্তাহ আগে ক্রমেই গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। উড়িষ্যা উপক‚লে লঘুচাপটি কেটে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের উপর বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, এ বছর বর্ষার জোর বেশিই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ দেশের অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহ হবে বৃষ্টিমুখর। কোন কোন এলাকায় হঠাৎ ভারী বর্ষণে পানিবদ্ধতায় তৈরি হতে পারে জনদুর্ভোগ।

চলতি জুন মাসে দেশে ‘স্বাভাবিক’ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয় দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে। তবে আবহাওয়াবিদগণ জানান, জ্যৈষ্ঠ শেষ না হতেই এবার যেভাবে মৌসুমী বায়ুর বিস্তার, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনঘোর মেঘমালা এবং সামনে একাধিক মৌসুমী নিম্নচাপের আভাস তাতে দেশে বৃষ্টিপাতের হার, পরিমাণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসে দেশে গড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭ ভাগ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে মৌসুমী বায়ু জোরদারের আলামতে এবং সাগরে মৌসুমী নিম্নচাপের সম্ভাবনা থেকে অস্বাভাবিক বেশিহারে বৃষ্টিপাত হতে পারে।

অতিবৃষ্টির কারণে জুন-আগস্ট সময়কালে দেশে একাধিক বন্যার শঙ্কাও রয়েছে। এ সময় উত্তর-পূর্ব ভারতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের প্রধান নদ-নদী ফুঁসে উঠতে পারে। অভ্যন্তরীণ অতিবৃষ্টি এবং ভারতের ঢল মিলিয়ে বন্যার কবলে পড়তে পারে বিশেষত সিলেট অঞ্চল, উত্তর জনপদের তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নদ-নদী এলাকাসমূহ।

আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, আষাঢ়ের আগের কদিনে বর্ষাকালীন বৃষ্টির আমেজ তৈরি হয়েছে, যা আষাঢ়ের শুরুতে আরও জোরালো হতে পরে। বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীর উজানভাগে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচল, মিজোরাম, সিকিমে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে প্রতিদিনই। এরফলে উজানে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি। অতিবৃষ্টিতে পানি আরও বাড়লে ভাটিতে বাংলাদেশের দিকে গড়াবে ঢলের পানি।

এদিকে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ