Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাধারণ মানুষ কেন চিকিৎসা পাবে না

প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত সাধারণ মানুষ কেনো ‘সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা’ পাবে না? আইসিইউ, ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন সিলিন্ডার এখন সোনার হরিণ। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আইসিইউ বেড বুকিং করে রেখেছেন। অনেককে দেখা গেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ভালো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো সাধারণ মানুষের জন্য নেই কেনো?

গতকাল শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রশ্ন তুলেন। ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেটের করোনা আক্রান্ত ডা. মইন উদ্দিন চিকিৎসার জন্য একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স পাননি। তিনি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। সড়কে, যানবাহনে, অ্যাম্বুলেন্সে, মর্গে এখন শুধু লাশের সারি। সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা তো সরকারেরই দায়িত্ব। চিকিৎসা ব্যবস্থা হওয়া উচিত সার্বজনিন। সরকার তা করতে ব্যর্থ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো হাসপাতালে শুধু করোনা নয়, অন্যরোগীরাও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। চিকিৎসা করতে গেলে বলে আগে করোনা টেস্ট করে আসেন। আর করোনা টেস্ট এখন সোনার হরিণের মতো। কিডনি, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ জটিল রোগের চিকিৎসাও পাচ্ছে না মানুষ। এই হলো দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘প্রয়োজনে সারাদেশ’, ‘এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউন’ ঘোষণাসহ ৭ দফা সুপারিশও তুলে ধরেন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পর্যাপ্ত মানসম্মত পিপিই সরবারহ নিশ্চিতকরণ ও তাদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জেলায় জেলায় করোনা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা সেবা দ্রুত স¤প্রসারণ, অভাবগ্রস্থ পরিবারগুলোকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রি বিতরণ, পোষাক শিল্প-কারখানার কর্মীসহ সাধারণ শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধা, খাদ্য সামগ্রি সহায়তা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া এবং করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক সংখ্যা উপস্থাপন এবং তথ্য লুকোনোর নীতি পরিহার করতে হবে।

ফখরুল বলেন, এই সঙ্কট মোকবেলায় সকল দল শ্রেণী-পেশাকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। করোনা পরিস্থিতিকে অবহেলা বা উদাসীন না হয়ে মানুষ বাঁচাতে সমস্ত শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজনৈতিক দল, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং যারা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ মতামত নিয়ে একটি সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ‘বিশেষ বীমা’ ও ‘বিশেষ ভাতা’ প্রদানের দাবিও জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব জানান, করোনাভাইরাস সংক্রামণে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত বিএনপির ঢাকা মহানগরের উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানসহ ৫৬ জন নেতা-কর্মী মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছে ১২১ জন নেতা-কর্মী। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেবক্ষণ সেলের তত্ত্বাবধায়নে সারাদেশে ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ পৌঁছানো হয়েছে। এতে সর্বমোট ২ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৪০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছে।

উত্তরার নিজের বাসা থেকে করোনা পর্যবেক্ষক জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহবায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনও যুক্ত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ