Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রুশ মধ্যস্থতায় আলোচনায় চীন-ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আলোচনার টেবিলে বসছে চীন ও ভারত। আগামী ২২ জুন এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ-ও এতে অংশ নেবেন। আপাত করোনা মহামারী মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন বৈঠকে একটি আস্থাবর্ধক বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা দিল্লির থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে ক‚টনৈতিক স‚ত্রগুলো। বেশ কিছু দিন ধরেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হচ্ছিল, তারা চায় চীন-ভারত উত্তেজনা কমুক। দিল্লিও বিষয়টি নিয়ে মস্কোর সঙ্গে কথা বলেছে। ফলে সরাসরি মধ্যস্থতাকারীর ভ‚মিকা না নিলেও রাশিয়া যে গুরুত্বপ‚র্ণ অবস্থান নিচ্ছে, তা এ বৈঠকের উদ্যোগেই স্পষ্ট। ক‚টনৈতিক স‚ত্রের মতে, দিল্লি যাতে ওয়াশিংটনের দিকে বেশি ঝুঁকে না পড়ে, সেটাই মস্কোর অগ্রাধিকার। এদিকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণে। লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দ্ব›দ্ব চলছে। সেনাবাহিনীর স্তরে তা মেটানোরও চেষ্টা চলছে। গত ৫ জুন কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। তারপর এই প্রথম বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের সেনাপ্রধান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরন্তর আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।’ প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনাপ্রধান এমন মন্তব্য করলেও আগের বৈঠকে চীনা বাহিনী লাদাখ নিয়ে অনড় মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সেনা স‚ত্র। মঙ্গলবার মেজর জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হয়। শুক্রবারই দুই সেনার মধ্যে স্থানীয় স্তরে বৈঠক হয়েছে। সেখানে চীন বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা এখনই প্যাংগং লেকের উত্তর তিরে ফিঙ্গার-ফোর সংলগ্ন এলাকা থেকে সরতে নারাজ। পাহাড়ের যে অংশগুলো প্যাংগং লেকের মধ্যে ঢুকে রয়েছে, সেগুলিকেই ফিঙ্গার বলা হয়। ফিঙ্গার-ফোরের কাছে চীন অন্তত ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে বলে দাবি ভারতের সেনা স‚ত্রের। ৫ মে থেকে চীন ওই এলাকা দখল করে বসে থাকায় ফিঙ্গার-ফোর থেকে ফিঙ্গার-এইট পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনীর নজরদারি বন্ধ হয়ে গেছে। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ