Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজারে টানা বর্ষণে তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

বাঁকখালী থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার, মাতামুহুরীতে একজন নিখোঁজ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ৮:০৩ পিএম

তিনদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও মাতামুহুরী এবং বাকঁখালী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কক্সবাজারে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীতে বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি।

এতে মাতামুহুরী ও বাঁকখালী তীরের দু'কূলের কয়েশ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। চকরিয়ায় ভেঙে পড়েছে উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়নগুলোর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। জরুরী প্রয়োজনে মানুষ নৌকায় যাতায়াত করছেন।

মাতামুহুরী নদীতে লাঁকড়ি ধরতে নেমে তীব্র স্রোতে পড়ে ভেসে গিয়ে আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। ওদিকে বাঁকখালী নদীর গর্জনিয়া পয়েন্ট থেকে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদিকে রেল লাইনের নির্মিতব্য প্রায় ১০ ফুট উঁচু মাটির রাস্তার কারণে আটকা পড়েছে ঢলের পানি। তার ওপর ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ভাটির দিকে পানি দ্রুত নামতে না পারায় কোন কোন জায়গায় বিপদ বাড়ছে।

চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ রেজা জানান, বুধবার মধ্যরাতে মাতামুহুরী নদীতীরের কোচপাড়া পয়েন্টের এক নম্বর গাইডবাঁধ এলাকায় ভাঙন শুরু হলে আতঙ্ক দেখা দেয় বাসিন্দাদের মাঝে। এ সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে বুধবার রাতভর শ্রমিক দিয়ে মাটি ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো হয়।

উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, হারবাং, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, চিরিঙ্গা, পশ্চিম বড় ভেওলা, পূর্ব বড় ভেওলা, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, বিএমচর, ডুলাহাজারা, খুটাখালী ইউনিয়ন এবং পৌরসভাসহ পুরো উপজেলার শতাধিক গ্রামের অন্তত দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকার শতাধিক স্লুইস গেট এবং নাঁশিও খুলে দেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। এতে দ্রুত পানি নামলেও ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার কেউ যাতে অনাহারে না থাকে, সেজন্য প্রায় ২১ হাজার পরিবারে প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে।

ওদিকে বাঁকখালীর উজানে গর্জনিয়া কচ্চপিয়াসহ রামুর ১০ ইউনিয়ন এবং কক্সবাজার সদরের ৭ ইউনিয়নে বৃষ্টি পানি ও পাহাড়ী ঢলে মারাত্মক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কমপক্ষে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ