Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শ্যামনগরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর যুবলীগের হামলা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়ার পথে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাতখালী ব্রিজের পাশে তাদের ওপর প্রথম দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীকে মারধরসহ বেশকিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

পরে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নকিপুর এলাকায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্যের বাড়ির সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের ওপর পুনরায় হামলা করে উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বহনকারী মাইক্রো বাসটি।
শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান কবীর জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার কাশিমাড়ীর চারশ’ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে রোববার সকালে জেলা বিএনপির নেতারা শ্যামনগরে পৌঁছান। এক পর্যায়ে কাশিমাড়ী প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে জেলা নেতৃবৃন্দসহ তারা হামলাকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন।

তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদল সভাপতি আজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দুলু, আনিছ, মোক্তার, সালাম, মিঠু, ছাত্রদল নেতা মাসুদ ও রাসেলসহ অন্তত ত্রিশজন নেতাকর্মী আহত হয়।

এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কাশিমাড়ীতে যাওয়ার পথে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়ির কাছে পৌঁছালে তারা হামলার শিকার হন।
জেলা বিএনপির এ শীর্ষ নেতার অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজিব হায়দারের নেতৃত্বে তার চাচাত ভাই ফেরদাউস হোসেনসহ ১৮-২০ জন তরুণ লাঠিসোটা নিয়ে সরাসরি হামলায় অংশ নেয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মীসহ তার সাথে থাকা জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল ও স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকসহ বেশ কয়েকজন নেতা আহত হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপির ছেলে যুবলীগ নেতা রাজিব হায়দার ঘটনার সাথে নিজে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন ঘটনার কথা শুনে আমার চাচা আমাকে ঘরে আটকে রাখেন। তবে, শুনেছি তারা এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়ে হৈ হুল্লোড় করায় স্থানীয়রা করোনার সময় এমন হৈ হুল্লোড়ে ক্ষেপে গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ