Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : টানা ১১ দিন ধরে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান জানান, মধ্যরাতে বাঘমারা গ্রাম নামক স্থানে রৌমারী শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে গোটা উপজেলা চত্বর, উপজেলা ভূমি অফিস, পোস্ট অফিস, রৌমারী বাজার, রৌমারী ডিগ্রী কলেজ, রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৮টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ফলে কার্যত রৌমারী উপজেলার সকল প্রকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অপরদিকে রাজিবপুর উপজেলা চত্বর, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস, খাদ্যগুদাম,পোস্ট অফিস, রাজিরপুর বাজার, রাজিবপুর ডিগ্রী কলেজেও পানি ঢুকেছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৯ উপজেলার ৬০ ইউনিয়নের প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে দর্বিসহ জীবন যাপন করছে। নীচু এলাকার লোকজন ঘর-বাড়ী ছেড়ে উচু সড়ক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলেও আশ্রয়স্থলে পানি উঠায় আরো দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসীদের। তলিয়ে গেছে ৫শ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ২শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানির প্রবল স্রোতো ভেসে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার ঘর-বাড়ী। কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্রিজের সংযোগ সড়কটি ধসে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১০ গ্রামের মানুষের।
কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদ জানায়, সরকারী ভাবে বরাদ্দ পাওয়া ৫শ মেট্রিক টন চাউলের মধ্যে ৪শ মেট্রিক টন চাউল ও ৮ লাখ টাকার মধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা বন্যা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব মোল্লা জানান, জেলার এক হাজার ১৩৭বর্গ কি: কিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে আছে। শুধুমাত্র পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ২ হাজার ৯০ জন। এছাড়াও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৬হাজার ৯০টি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ ও কার্লভাটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯টিতে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংখ্যা ৫২৫ কিলোমিটার। এছাড়াও ১৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৩হাজার ১৬২ জন মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ