Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বানরের দখলে থাইল্যান্ডে শহর, গৃহবন্দী মানুষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২০, ৮:১০ পিএম

পর্যটক এবং দর্শনার্থীর অভাব থাইল্যান্ডের একটি শহরের বাসিন্দাদের জন্য বিশাল সমস্যা তৈরি করেছে। দেশের কেন্দ্রে অবস্থিত লোপবুড়িতে শহরে প্রচুর বানর দেখা যায়, তবে বর্তমানে খাদ্যের অভাবে সেগুলো যৌন-উন্মাদ এবং হিংস্র হয়ে উঠেছে।

প্রাণীগুলো ভ্রমণকারীদের দান করা এবং ফেলে যাওয়া খাবারের উপর নির্ভরশীল ছিল। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পর্যটক না আসায় খাবারের অভাবে বানরগুলো ক্রমশ উত্তেজিত হয়ে উঠছে। সমস্যাটি এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছে যে, বাসিন্দারা বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের দাবি, শহরটি মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

কুলজিরা তাইচাওয়াতানাওয়ানা নামে সেখানকার এক বাসন্দিা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘বানরগুলো বাইরে এবং আমরা খাঁচায় থাকি। এগুলোর উৎপাত সর্বত্র, এদের গন্ধও অসহ্য হয়ে উঠেছে।’ বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে একটি বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ দল যেয়ে শত শত বানর ধরে সেগুলোর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে দেন, যাতে তাদের সংখ্যা বিস্ফোরিত হতে না পারে।

বানরগুলোর জন্য খাদ্য সংকট এতটাই তীব্র যে, একটি ফেলে দেয়া কলার জন্যও সেগুলো মারামারি করে। স্থানীয় একজন বলেন, ‘বানরগুলো চেয়ে বুনো কুকুরের মতো হিংস্র হয়ে উঠেছে। তারা খাবারের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে। আমি তাদের কখনও এত আক্রমণাত্মক হতে দেখিনি।’

গত মার্চে বানরের দল রাস্তায় খাবার নিয়ে ঝগড়া করছে এমন একটি ভিডিওফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তিন বছরে সেখানে বানরের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ফলে তাদের তাণ্ডব এখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। শহরের একটি পরিত্যক্ত সিনেমা হল বানরদের সদর দফতর। কাছের একটি দোকানের মালিক বানরদের ভয় দেখাতে বাঘ ও কুমিরের খেলনা রেখেছেন। তাতেও কাজ হচ্ছে না। প্রতিদিনই বানরের দল তার দোকান থেকে খাবার চুরি করছে।

সুপকরন নামে একজন ভেটেরেনারি সার্জন বলছিলেন, ‘পর্যটকরা চলে যাওয়ার পরেই তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। বাঁচার জন্য তারা খাবার নিয়ে মানুষের সঙ্গে লড়াই করছে। তারা ভবনগুলোতে আক্রমণ করছে এবং স্থানীয়দের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছে।’ সূত্র: ল্যাডবাইবেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ