Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৮০-তে সৈয়দ আব্দুল হাদী

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২০, ১১:১৩ এএম

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী আজ ৮০ বছরে পা রাখলেন। আজ তাঁর জন্মদিন। তবে দিনটিকে ঘিরে তাঁর কোন পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, জন্মদিন নিয়ে কখনোই বিশেষ কোন আয়োজন করেননি। এদিনে সবাই শুভেচ্ছা জানান, দোয়া করেন, এটাই জীবনের বড় প্রাপ্তি। সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘জন্মদিন বিশেষভাবে উদযাপনের আগ্রহ কখনোই ছিল না। এখনো নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটে, এটুকুই আমার ভালোলাগা। আর আশি বছরে পা দিয়েছি এটা বিশেষ কিছু নয়। মানুষ বাঁচলে চলমান প্রক্রিয়ায় তার বয়স বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এটাকে বিশেষায়িত করার কিছু নেই। আল্লাহ সুস্থ রেখেছেন ভালো রেখেছেন, আলহামদুল্লিাহ।’ সৈয়দ আব্দুল হাদী, তাঁর সঙ্গীতজীবনে অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন। তার ভরাট কণ্ঠের গান শুনে মানুষ অভিভূত হয়েছেন। এখনো তার গান মানুষের মুখে মুখে। তার গাওয়া আধুনিক, দেশাত্মবোধক ও চলচ্চিত্রের গান কালজয়ী হয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, কখনোই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসেব করে গান করিনি। ভালোবেসে গান করে গেছি। গান গেয়ে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই। সৈয়দ আব্দুল হাদী তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সাহিত্যে অনার্স পড়াকালীন চলচ্চিত্রে গান করার সুযোগ পান। ১৯৬০ সালে ‘ইয়ে ভি এক কাহানী’ সিনেমায় প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। এ সিনেমায় করিম শাহাবুদ্দিনের সঙ্গীত পরিচালনায় প্লে-ব্যাক করেছিলেন। এরপর আরো বেশ কয়েকটি উর্দু সিনেমায় গান করেন। ১৯৬৪ সালে পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের ‘ডাক বাবু’ তে গান গাওয়ার মধ্যদিয়ে প্রথম বাংলা সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন। মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের লেখা ‘চাতুরী জানেনা মোর বধুয়া’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি আলী হোসেনের সুরে। গানটি সে সময় ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছিল। প্রয়াত সুবল দাসের অনুপ্রেরণায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন ‘ফেরারী’ নামে একটি সিনেমায়। তানসেন নামে একটি সিনেমায় গানও লিখেছিলেন। তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমায় গান গাওয়ার জন্য। ২০০০ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। গত ২১ জুন বাবা দিবসে তার গাওয়া গান প্রকাশিত হয়। ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে ‘বাবা ছেলের টান’ শিরোনামের গানটি। গানটি লিখেছেন সুহৃদ সুফিয়াসন। গানটির সুর করেছেন কিশোর দাস। সুর সঙ্গীত করেছেন সুমন কল্যাণ ও কিশোর দাস। গানটিতে সৈয়দ আব্দুল হাদীর সঙ্গে গেয়েছেন আসিফ আকবর। এদিকে করোনা’র এই সময়েও গান গাওয়ার জন্য অনেকেই অনুরোধ করছেন। তবে তিনি এখন গান করতে রাজী নন। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জন্মদিনে ইনকিলাব বিনোদনের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ