Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফুলবাড়ীতে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আজোও এমপিওভুক্ত হয়নি উপজেলার সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে নন-এমপিওভুক্ত অর্ধশত শিক্ষক-কর্মচারী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজও এমপিওভুক্ত হয়নি চকসাহাবাজপুর ও সালগ্রাম এর দুটি নি¤œ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফুলবাড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সমশের নগর উচ্চ বিদ্যালয় এর নবম ও দশম শ্রেণি, উত্তর লক্ষ্মীপুর স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখা, লালপুর দাখিল মাদ্রাসা ও আমডুঙ্গি হাট আলিম মাদ্রাসার আলিম শাখা। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন অর্ধশত শিক্ষক ও কর্মচারী। কেউ কেউ ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত চাকরি করেও এখনো সরকারি বেতন-ভাতা পাননি। ফলে তারা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে জীবন-যাপন করছেন। উপজেলার ফুলবাড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে নি¤œ-মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে এই বিদ্যালয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেণি চালু করা হয়। কিন্তু ২০০০ সালে এমপিও হওয়ার সময় নিম্ন-মাধ্যমিক হিসেবে এমপিও হওয়ায় আজও বেতন ভাতা পাননি নবম ও দশম শ্রেণির কর্মরত ৫জন শিক্ষক, ১জন ক্যাটালগার ও ১জন নৈশ্য প্রহরী। একই অবস্থা সমশেরনগর উচ্চ বিদ্যালয়েরও। সেখানেও ২০১০ সালে ৯ম ও ১০ম শ্রেণি চালু হলেও এখনো এমপিও হয়নি। উপজেলার চকসাহাবাজপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও এখনও এমপিও হয়নি। একই অবস্থা সালগ্রাম নি¤œ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। লালপুর দাখিল বালিকা মাদ্রাসাটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও এখনও এমপিও হয়নি। আমডুঙ্গির হাট আলিম মাদ্রাসাটি ২০০৩ সালে আলিম শাখা খোলা হলেও ওই শাখাটি আজোও এমপিও হয়নি। একই অবস্থা উত্তর লক্ষ্মীপুর স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখার, উত্তর লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে কলেজ শাখা চালু করা হলেও এখনো এমপিও হয়নি কলেজ শাখাটি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছাত্তার বলেন, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা সরকারি সকল নিয়ম-নীতি মেনে চাকরি করেও তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ কারণে তাদের উপর প্রশাসনিক চাপও মানবিক কারণে দেয়া যায় না। তিনি বলেন, এই শিক্ষকদের কারণেই ওই বিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতিবছরই সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করছেন শিক্ষার্থীরা। অথচ তারা বিনা বেতনে এই সার্ভিস দিচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অবিনাশ চন্দ্র বলেন, সরকারের অর্পিত দায়িত্ব শিক্ষাদান নিয়মিত করে যাচ্ছে এই শিক্ষকেরা। অথচ তারা বেতনভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ জন্য তিনি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুলবাড়ীতে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ